বিএনপি কারোও উপর প্রতিশোধ নেওয়ার রাজনীতি করে না : ইলিয়াসপত্নী লুনা

বিশ্বনাথ রাজনীতি
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য ও ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেছেন, বিগত ১৬/১৭ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের মৌখিক অধিকার কেড়ে নিয়ে ছিল। মানুষের কথা বলা ও ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার কারণেই ৫ আগস্ট জনরুশের মুখে সরকার প্রধান’সহ তাদের এমপি-মন্ত্রীরা দেশ ত্যাগ করে ছিলেন। আওয়ামী লীগ সনাতন ধর্মালম্বী’সহ অন্যান্যদের কোন উন্নয়ন করেনি, অথচ তাদেরকে নিজেদের রিজার্ভ ভোটার দাবী করত। সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই, আমরা সভাই ভাই-বোন। তাই আপনারা নিজেদেরকে কখনও সংখ্যালঘু ভাববেন না, আমরা সবাই এদেশের নাগরিক। সবাই মিলেই দেশটাকে সাজাতে হবে। তাছাড়া আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিদের্শনা হল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নিয়েই আমরা বসবাস করব। বিএনপি কারোও উপর প্রতিশোধ নেওয়ার রাজনীতি করে না। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে উন্নয়ন ও অগ্রগতির রাজনীতি। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগেরা নেতাকর্মীরা বিএনপিকে নিয়ে অনেক মিথ্যাচার করেছে। আমাদের মাধ্যমে নিরীহ কেউই কোনভাবে হয়রাণীর শিকার হবেন না, আর তাই ব্যক্তির অপকর্মের দায়ও বিএনপি নেবে না।

তিনি রোববার (২৯ জুন) বিকেল ৩টার দিকে ‘অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে’ সিলেটের বিশ্বনাথে পৌর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ‘উপজেলা ও পৌর’ এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন। সভার মুক্ত আলোচনায় সনাতন ধর্মালম্বী বক্তারা প্রধান অতিথির কাছে দাবী রাখেন পৌর শহরের দুর্গাপুর (কারিকোনা) গ্রামে থাকা শশ্মানঘাট ও পুরাণ বাজারস্থ রথবাড়ীর জায়গা অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করে তাদের সেস্থানগুলোতে কেন্দ্রীয় মন্দির ও শশ্মানঘাট নির্মান করার উদ্যোগ গ্রহন করার। তাছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় থাকা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত থাকা সনাতন ধর্মালম্বীদের মন্দির-আখড়ার কাঙ্খিত উন্নয়নে কার্যক্রর পদক্ষেপ গ্রহন করা জোরদাবী জানান বক্তারা।

রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নবেন্দ্র জ্যোতি দে’র সভাপতিত্বে এবং পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোবিন্দ মালাকার ও উপজেলা বিএনপির আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট ঝলক আচার্য্যের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া, সিলেট মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দে, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মানিক লাল দে, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য নিশি কান্ত পাল, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সহ সভাপতি রুপক কুমার দেব, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুনীল কান্ত দে, গোবিন্দগঞ্জ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক শুধাংশু শেখর দত্ত, বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমিতির সিলেট জেলা শাখার সহ সভাপতি বাবুল কান্তি দাশ মেঘল।

সভার মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলার দেওকলস ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শশাংঙ্ক বৈদ্য, বিশ্বরূপ মডেল মন্দিরের পরিচালক রমা কান্ত দে, শ্রীশ্রী শনি মন্দির সার্বজনীন দুর্গা পূজা কমিটির সভাপতি বিজয় চন্দ্র দে, শ্রীশ্রী রাধারমন জিউর আখড়া দত্তার সাধারণ সম্পাদক নিশি কান্ত পাল, বিশ্বরূপ মডেল মন্দিরের সভাপতি অরুণ চন্দ্র নাথ, উপজেলার মৌজপুর গ্রামের ননী দাশ, দিঘলী গ্রামের সুনীল পাল, বাউসী গ্রামের বাবু লাল বৈদ্য। সভার শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খান এবং গীতা থেকে পাঠ করেন উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি দেবব্রত চক্রবর্তী।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *