ডাক ডেস্ক : ঢাকায় যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার অন্যতম নির্দেশদাতা ছাত্রদল নেতা আমির হোসেন রকি ও তাঁর সহযোগী মো. সাকিব ওরফে আরোহানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার (৫ নভেম্বর) কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই বোতল পেট্রোল ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
সিটিটিসি জানিয়েছেন, বিএনপি নেতাদের নির্দেশে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের বিষয়টি সমন্বয় করে আসছিলেন রকি। একটি বাসে আগুন দেওয়ার জন্য তিন হাজার টাকা পেতেন কর্মীরা। বিষয়টি জানাতে আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক সহিংসতার অংশ হিসেবে গত ১ নভেম্বর মিডলাইন পরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর পালানোর সময় জনগণের সহযোগিতায় পুলিশ আল আমিন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় বাসের মালিক মুহাম্মদ দুলাল হোসেন বাদী হয়ে মুগদা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। ঘটনার পরেই সিটিটিসির ইন্টেলিজেন্স টিম ওই ঘটনায় জড়িত ও আর্থিক সহায়তাকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করে।’
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বিএনপি’র সক্রিয় কর্মী মিজানুর রহমান অবরোধের প্রথমদিন সূত্রাপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমির হোসেন রকি তাকে ফোনে বাসে আগুন দেওয়ার নির্দেশ দেন। এবং বলেন, যদি মিজান আগুন দিতে পারেন, তবে বিএনপি আর কয়েকদিন পর ক্ষমতায় এসে তাকে এমন টাকা-পয়সার ব্যবস্থা করবে যে, কোনো অভাব থাকবে না।
‘জিজ্ঞাসাবাদে রকি আরও জানান, ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত বিএনপির ডাকা প্রথম ধাপের অবরোধের চেয়ে ৫-৬ নভেম্বরের দ্বিতীয় ধাপের অবরোধে যাত্রীবাহী বাসে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে দ্বিগুণ টাকা দেওয়ার ঘোষণা এসেছে। গ্রেপ্তারকৃত রকি প্রথম ধাপের অবরোধে মুগদার বাইরে আরও বেশ কয়েকটি অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে শাহবাগ ও কোতয়ালী থানায় আরও দুটি মামলা রয়েছে, যোগ করেন মো. আসাদুজ্জামান।’