অনলাইন ডেস্ক :: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আড়িয়াল খাঁ নদে অবৈধভাবে উত্তোলনের পর জব্দ করা বালুর টেন্ডারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন চারজন। গতকাল মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) কাউলিবেড়া ইউনিয়নের চরমুকডুবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু জব্দ করে ভাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন।
সেই বালু প্রকাশ্য নিলাম ডাকের মাধ্যমে বিক্রির জন্য গতকাল মঙ্গলবার সকালে সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ নিয়ে গত সোমবার (৯ ডিসেম্বর) থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে জড়িত দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। পরে মঙ্গলবার সকালে চরমুকডুবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে দুই পক্ষের লোকজন জড়ো হয়। এ সময় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এ সময় আহত হয়েছেন- কাউলিবেড়া ইউনিয়নের মোটরা গ্রামের বাসিন্দা ঢাকা বাংলা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়ান জমাদার (৩০), কাউসার হোসেন (৩০), আব্দুর রহমান (৪০) ও কুদ্দুস জমাদার (৫০)। তাদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহত রিয়ান জমাদার বলেন, ‘আমি মোটরসাইকেলে বাড়ি যাওয়ার সময় রিপন ও তার লোকজন আমাকে জোর করে মোটরসাইকেল থেকে নামায়।
আমার সঙ্গে রিপনের লোকজনের ধস্তাধস্তি হয়। রিপন পিস্তল দিয়ে দুটি গুলি ছুড়ে আমাকে ভয় দেখিয়ে পাশের একটি ঘরে নিয়ে মারধর করে। এ সময় আমার সাথে থাকা আরো দুজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়।’
থানা সূত্রে জানা যায়, ৫ অগাস্টের পর আড়িয়াল খাঁ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগে মাসখানেক আগে চরমুকডুবা গ্রামের বাসিন্দা মাইনুল ইসলাম রিপনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। রিপন ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সর্বশেষ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। তিনি সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
অন্যদিকে, রিপনের গ্রেপ্তারের পর বালু উত্তোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কাউলিবেড়া ইউনিয়নের মোটরা গ্রামের বাসিন্দা বিএনপি সমর্থক রবিউল জমাদার রনির বিরুদ্ধে। তবে এ বিষয়ে জানতে মাইনুল ইসলাম রিপনের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার সকালে জব্দকৃত বালু নিলামে বিক্রির জন্য আমি চরমুকডুবা গ্রামে যাই। একই সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় চারজন আহত হয়েছে।’
ভাঙ্গা থানা ওসি মোকছেদুর রহমান বলেন, ‘সংঘর্ষে আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা রুজু হলেই আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’