আব্দুস সালাম, বিশ্বনাথ উপজেলায় প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে কেউ সংক্রমিত না হলেও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে অজানা আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। অভাব অনটন থাকলেও অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।বিশ্বনাথ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন, প্রধানমন্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও মানুষকে করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় সচেতন ও শতভাগ লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন। প্রশাসনের তৎপরতা ও সচেতন মহলের সহায়তায় গত এক সপ্তাহে হাট বাজার, খেলার মাঠে জমায়েত বা লোক সমাগমের সংখ্যা অনেকাংশে কমেছে।তবে কয়েকটি ইউনিয়নের কিছু কিছু গ্রামে শত শত মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করছেন এ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধেও গুজব ছড়ানো হচ্ছে।বিপুল সংখ্যক লোক একত্রিত হলে করোনা সংক্রামনের ঝুকি খুব বেশি।
কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ কর্মচারীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে মাঠে কাজ করছেন।সরকারের সাধারণ ছুটির ঘোষনার মধ্যেও তারা পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র খোলা রেখে সেবাদান, স্যাটেলাইট ও ইপি আই এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা প্রদান করছেন।পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নরমাল ডেলিভারি ও হচ্ছে।ইউনিয়ন পরিষদের গঠিত কমিটির টিমের সাথে প্রবাসীদের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ, তাদের ঘরে থাকা, হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ এলাকার মানুষকে এ মহা দূর্যোগ থেকে রক্ষার পরামর্শ দিচ্ছেন।কিন্তু সরাসরি কাউকে সনাক্ত বা চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্হা নেই তাদের হাতে।স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মচারীরা জানান এদেশে যত সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ আক্রমন করেছে সব গুলো নির্মূল হয়েছে স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মিদের হাতে।কিন্তু মরনব্যাধি করোনা ভাইরাসের আক্রমনে সাধারন মানুষের মতো কর্মচারীরা আতঙ্কিত। ব্যক্তিগত ভাবে নিজেকে যথাসম্ভব সুরক্ষার ব্যবস্হা করে তারা মানুষের পাশে রয়েছেন।মানুষও অনেক বাধা নিষেধ সত্বেও তাদের পরামর্শ গ্রহন করছেন।দৌলতপুর ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোঃ জহির আহমদের সাথে দশপাইকা পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে যাওয়ার পথে বুধবার দেখা হয় এই প্রতিনিধির। তিনি জানান আমরা শুধু চাকুরি নয় মানবতার কারনে মানুষকে করোনার হাত থেকে রক্ষায় সচেতন করার চেস্টা করছি।তিনি বলেন সরকার আমাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্হায় সহায়তা করলে আমরা আরো বেশি করে কাজ করতে পারব।
উপজোলার স্বাস্হ্য কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, কেরোনার কারনে আমি নিজেই হাসপাতালে অবস্থান করছি। যতটুকু সম্বভ কর্মীরা করোনা সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা : ফারুক জানান, এফডাব্লিউভি, এফপিআই এবং এফডাব্লিউএগণ দূর্যোগপূর্ণ এ সময়ে মানুষকে করোনার হাত থেকে রক্ষার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন, আমারা সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে কাজ করছি।
রামপাশা ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মোছাঃ জহুরা বেগম জানান, করোনা ভাইরাসের কারনে খুব কম সংখ্যক লোক আসেন। যারা আসেন তাদেরকে আমরা সচেতন মূলক পরামর্শ দেই। পরিবার কল্যান সহকারি শিরিয়া বেগম জানান বিপদে মানুষের পাশে দাড়ানো মুমিনের পরিচয়।আমরা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মচারিগণ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মানুষকে সর্বাত্বক সচেতনতা মূলক পরামর্শ দিচ্ছি।স্বাস্থ্য সহকারি মোঃ কয়েছ মিয়া জানান, মানুষের প্রান বাঁচাতে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে পরামর্শ দেয়া মানবতার দায়িত্ব।কিন্ত আমাদের করনীয় খুবই সীমিত।
বলা আবশ্যক যে, বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাসে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন এবং বাংলাদেশে প্রতিদিন মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।বাংলাদেশ সহ বিশ্ববাসি যেন এক মহাপ্রলয় অতিক্রম করছেন।একমাত্র গণসচেতনতাই করোনার হাত থেকে রক্ষার উপায় বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।