প্রধানমন্ত্রীর বাড়ী উপহার পেল বিশ্বনাথের ১২০ গৃহহীন

Uncategorized
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল দেশের কোনো মানুষ আশ্রয়হীন থাকবে না। পিতার সেই স্বপ্ন পূরণে মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশের গৃহহীন-ভূমিহীনদের ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় ৭০ হাজার ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পেলেন আধাপাকা বাড়ি। শনিবার সকালে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন ৬৬ হাজার ১৮৯টি পরিবারকে ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হবে। একযোগে এত ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে জমি ও ঘর করে দেওয়ার ঘটনা বিশ্বে এটিই প্রথম। ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব পরিবারকে ঘরের চবি বুঝিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন ৪৯২টি উপজেলার মানুষের সাথে বিশ^নাথ উপজেলার মানুষও অংশ গ্রহণ করেন। পাশাপাশি সিলেটের বিশ^নাথেও ১২০ পরিবারও বাড়ি পেলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো এ দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানো তাদের শান্তিতে থাকার ব্যবস্থা করা। আজ যখন এই মানুষগুলো এই ঘরে থাকবে তখন আমার বাবা-মার আত্মা শান্তি পাবে। লাখো শহীদের আত্মা শান্তি পাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন এক দিনে এত মানুষকে ঘর দিতে পারলাম, এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। যাদের গৃহ নেই তাদের ঘর করে দিতে পারা অসাধ্য সাধন করতে পারলাম, এর চেয়ে বড় পাওয়া আর হতে পারে না। তিনি বলেন খুব আকাঙ্ক্ষা ছিল নিজে আপনাদের হাতে জমির দলিল তুলে দিই। কিন্তু করোনাভাইরাসের জন্য হল না।
তারপরেও আমি মনে করি, দেশ ডিজিটাল হয়েছে বলেই এভাবে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমরা প্রত্যেক শ্রেণির জন্য কাজ করছি।
মুজিববর্ষে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণার ধারাবাহিকতায় পৌনে ৯ লাখ গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে প্রথমে ৬৬ হাজার ১৮৯টিকে ঘরের মালিকানা দেওয়া হল। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি সকলের সম্মিলিত প্রয়াসেই এত বড় অসাধ্য সাধন হয়েছে।
বিশ^নাথে ১২০জনে গৃহহীন-ভূমিহীনদের যারা ঘর পেলেন তারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা একজন, প্রতিবন্ধি একজন, বিধবা পনেরজন, স্বামী পরিত্যক্তা তেরজন, ভিক্ষুক তিনজন, শ্রমিক ও কৃষক পেশাজীবী সাতাশিজন।
সকাল ৯টা থেকে বিশ্বনাথের উপজেলা বিআরডিবি মিলনায়তনে উপস্থিত ছিলেন জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রিপন কুমার দাশ, জেলা গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কায়েজে আযম, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম নুনু মিয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বর্নালী পাল, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক আহমদ, বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা, ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওয়াহিদ আলী, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমান, বিশ^নাথ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমির আলী, রামপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমদ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমীর কান্তি দেব, উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ, খাদ্য কর্মকর্তা মনধন চন্দ্র দাস, পল্লী বিদ্যুতের বিশ^নাথ জোনাল অফিসের ডিজিএম ছাইফুল ইসলাম, বিআরডিবি চেয়ারম্যান মহব্বদ আলী, আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয় সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *