স্টাফরিপোর্ট: জাতীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেছেন, চাউলধনী হাওরের কৃষক নিজে জমিতে পানি সেচ দিয়ে চাষাবাদ করতে পারেনা। লীজগ্রহীতা ও তার বাহিনী জোর পূর্বক কৃষকের জমি সেচ দিয়ে মাছ ধরে নেয় ।এত বাধা দেয়ায় কৃষক দয়াল ও জোরপূর্বক মাটিকাটার কাজে আপত্তির কারণে এলাকার সম্ভাবনাময় স্কুলছাত্র সুমেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমন নজিরবিহীন ঘঠনার প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুনীদের গ্রেফতারে তৎপর থাকলেও এখনও সাইফুল ও তার অস্ত্রবাজ বাহিনী ধরা না পড়ায় জনগণ হতাশ ।তিনি খুনী ও খুনীদের আশ্রয়-পশ্রয়দাতাদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
শনিবার বিকাল ২ টায় দৌলতপুর ইউনিয়নের চাউলধনী হাওর স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখ ছিলেন। মোকাব্বির খান বলেন ,প্রশাসনের যে সকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাও দশঘড় মৎসজীবি সমবায় সমিতিকে অবৈধভাবে সমিতি রেজিস্ট্রেশন ও লীজ প্রদানে সহায়তা করেছেন তাদেরকে ঘাড়েধরে এ থানা থেকে বের করে দেওয়া হবে।এতো অনিয়ম দুর্নীতি সহ্যকরা যাবেনা। তিনি চাউলধনী হাওর পারের ২৫ হাজার কৃষকদের রক্ষা , দয়াল ও সুমেল খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থার আশ্বার্স দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দাও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, জলদুস্যু সাইফুল বাহিনীর আশ্রয়দাতাদের আমরা চিনি প্রশাসনও এদের তথ্য পেয়েছেন । সুতরাং তাদের গ্রেফতার করলেই সাইফুল ও তার বাহিনীদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।তিনি বলেন খুনী ও তাদের আশ্রয়দাতাদের কঠোর শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত ২৫ হাজার কৃষক ঘরে ফিরে যাবেনা।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী ইলিয়াস আহমদ আয়নার সভাপতিত্ব বিষেশ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট এ,এইচ,এম ফিরোজ আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মো: আবুল কালাম,দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আরিফ উল্যাহ সিতাব, আলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আনোয়ার হোসেন ধন মিয়া,শেখ শহীদুল ইসলাম , নজির আহমদ, আহমদ আলী প্রমুখ।
সভায় পবিএ কোরান তেলাওয়াত করেন আবু তাহের মিসবাহ এবং সভা পরিচালনা করেন শফিক আহমদ পিয়ার।সভায় কয়েক শতাধিকলোক উপস্থিত ছিলেন।