আব্দুস সালাম, সিলেট-২ আসনের (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) জাতীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেছেন, পৃথিবীর শ্রেষ্ট আদর্শবান মানুষ ছিলেন বাঙালি জাতির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর নীতি- নৈতিকতা মানবিক-মূল্যবোধ ও মানুষের প্রতি ভালবাসার কারনে তিনি জাতির পিতার স্থান দখল করে নিয়েছেন। আমি তাঁর আদর্শের একজন অনুসারি। আজীবন তাঁর আদর্শ লালন করে বেঁচে থাকতে চাই। রাজনীতিতে ভিন্নমত ও পথ থাকতে পারে বটে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আদর্শের নাম হচ্ছে শেখ মুজিব। এই আদর্শ অনুস্মরণ করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নির্মাণ করতে চাচ্ছেন। শেখ হাসিনাকে দেখলে মনে হয় তিনি তাঁর পিতার আদর্শ থেকে একটুকুও বিচ্চ্যুতি হচ্ছেন না। মোকাব্বির খান বলেন, সংসদ গ্যালারি ও যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমার এতো শক্তি ও সাহস হল কি ভাবে ? উত্তরে আমি বলেছিলাম আমি বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শের কর্মী। তিনি (শেখ হাসিনা) হেঁসে আমাকে বলেছিলেন এলাকায় গিয়ে কাজ কর, মানুষকে ভালবাসলে প্রতিদান পাবে। তাঁর এ কথায় আমি খুশি ও চির কৃতজ্ঞ।
(১লা সেপ্টেম্বর) শনিবার বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের গর্ভনিং বডির উদ্যোগে আয়োজিত মোকাব্বির খানকে দেয়া সংবর্ধনা সভায় উপরোক্ত কথা বলেন। গভর্নি বডির সভাপতি হাজি ফখরুল আহমদ মতছিনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিষ্ট ও সমাজ বিশ্লেষক এ এইচ এম ফিরোজ আলী, অধ্যক্ষ এম এ রহিম, আওয়ামীলীগ নেতা বশির আহমদ, সিলেট জেলা বিএনপি সদস্য জসিম উদ্দিন জুনেদ, সিলেট জেলা যুবলীগের অন্যতম নেতা সিতার মিয়া, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী নুরুল ইসলাম খান, গভর্নিং বডির সদস্য নজির আহমদ। অনুষ্টানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অত্র বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নুরুল আমিন, শ্রদ্ধাঞ্জলী পাঠ করেন, দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ফারজানা বেগম, কোরআন তেলাওয়াত করেন শিক্ষক নজরুল ইসলাম। জাতয়ি সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্টানের কার্যক্রম শুরু হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেলোওয়ার হোসেন, মীর মফিজুল ইসলাম, ফাতেমা আক্তার, সিরাজুল ইসলাম, সামসুল ইসলাম, জুয়েল রানা, আল-আমিন, সাবিয়া বেগম, মিজানুর রহমান চৌধুরী, শরিফ উদ্দিন, মুহিবুল ইসলাম প্রমুখ।
মোকাব্বির খান আরো বলেন, দেশে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চরম দূনীতি বেড়েছে। শেখ হাসিনা দূনীতি জিরো টলারেন্স নীতি অনুস্মরণ করছেন। কিন্তু কতটুকু বাস্তবায়ন হবে তা বোঝা যাচ্ছেনা। তিনি বলেন, আপনারা আমাকে না চিনে না জেনে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন, আমি কাজের মাধ্যমে আপনাদের ঋন শোধ করতে চাই এবং দূনীতির কোন ছোঁয়া যেন আমার শরীর স্পর্শ করতে না পারে সে জন্য আপনাদের সহযোগীতা চাই। মোকাব্বির খান দেওকলস স্কুলের সাথে সংযোগকারি একটি রাস্তা পাকা করণ সহ প্রতিষ্টানের উন্নয়নে তাঁর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন। সভায় উপস্থিত সকলেই মোকাব্বির খানের বক্তব্যে মুগ্ধ হয়ে তাঁর ভুয়শী প্রশংসা করেন।