নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আনোয়ার হোসেন (ধন মিয়ার) দায়েরী দ্রুত বিচার আইনের মামলাটি তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় থানা পুলিশ আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেছে। এই মামলায় অভিযোক্তরা ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলেও গ্রামে আদিপত্ত বিস্তারের জন্য বাদি নিরিহ পরিবারের উপর মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
এ মামলার অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়া একজন মুফতি, ফাহিম আহমদ ১০ম শ্রেনীর ছাত্র এবং এমাদ আহমদ ও জামিল আহমদ সিলেটে কলেজে পড়ালেখার করছেন। শেখ সাব্বির আহমদ সিলেট শহরের একজন ব্যবসায়ি। সফিক মিয়া ছিলেন একজন বয়বৃদ্ধ ও প্যারালাইসেস রোগী, মস্তফা মিয়া বয়বৃদ্ধ।
ভুমি সংক্রান্ত বিরুধের জের ধরে আনোয়ার হোসেন ও কুতুব উদ্দিন গত ৫আগষ্টের পর তার লোকজন নিয়ে সফিক মিয়ার রেকডিয় ভুমিতে জোর পূর্বক দেয়াল নির্মাণ করেন। তখন সফিক মিয়া আইনের আশ্রয়ে থানায় গেলে পুলিশ অপারগতা প্রকাশ করেন। তারপর নিরুপায় হয়ে সেনাবাহিনীর নিকট গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশের একজন কর্মকর্তা নিয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে যান এবং জোর পূর্বক আনোয়ার হোসেন গংরা দেয়াল নির্মাণের ঘটনা প্রমানিত হলে সেনাবাহিনী দেয়াল ভেঙ্গে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে আসেন। পরদিন আনোয়ার হোসেন, কুতুব উদ্দিন ও তার লোকজন দেয়াল ভেঙ্গে ৯জনকে আসামি করে সিলেটের দ্রুত বিচার আইনে আদালতে (বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং-৫০/২০২৪ইং), দায়ের করেন। আসামি পক্ষের লোকজন উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) সিলেট রেঞ্জ বরাবরে মিথ্যা এ মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন করলে ডিআইজি মুশফেকুর রহমান মামলাটি নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন দেয়াল ভাঙ্গা ও মামলার ঘটনা আসামি কর্তৃক সংগঠিত না হওয়ায় আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেন। সাজানো অভিযোগের মামলা থেকে নিরিহ পরিবারের লোকজন অব্যাহতির ঘটনায় গ্রাম ও এলাকাবাসির মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে এবং সবাই পুলিশের প্রতি খুবই আন্তরিক।