ছাতকে নিরাপত্তা প্রহরী খুনের ঘটনায় ডাকাত আজম আলী গ্রেফতার

Uncategorized
শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার : সুনামগঞ্জের ছাতক রেলওয়ে নিরাপত্তা প্রহরী ফকরুল আলম খুনের ঘটনার মুল হোতা কুখ্যাত ডাকাত সরদার আজম আলীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন ছাতক থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমার পিপিএম। গত (৮ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার দুপুরে নোয়ারাই ইসলামপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে মৃত হোসন আলীর পুত্র। ডাকাত সর্দার আজম আলী দীর্ঘ  তিন বছর সাজা ভোগ করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসে পূণরায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ে এবং রেলওয়ে নৈশ প্রহরীকে খুন করে।
ছাতক রেলওয়ের নিরাপত্তা প্রহরী ফকরুল আলম প্রতিদিনের ন্যায় রেলওয়ের গোডাউনের নৈশ প্রহরীর ডিউটি পালন শেষে ভোর ৬ টায় নিজ বাসায় ফেরেন।
গত ২৯শে জুন রাতের ডিউটি শেষে সে বাসায় ফিরেনি। ঐদিন অজ্ঞাতনামা ডাকাতদল রাত ২ টার দিকে গোডাউনের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে নিরাপত্তা প্রহরী ফকরুল আলমকে নির্মমভাবে হত্যা করে গোডাউনেে থাকা রেলওয়ের লৌহজাত সহ বিভিন্ন মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ছাতক নৈশ প্রহরী ফকরুল আলমের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-২৩ (৬) ২০)। এ মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম দায়িত্ব দেন ছাতক থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএমকে। রহস্য উদঘাটনে মরিয়া হয়ে উঠেন হাবিবুর রহমান। তিনি খুনের সাথে জড়িত থাকা ডাকাত সর্দার আজম আলীর সহযোগীসহ ৫জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। গ্রেফতারকৃত ৫ জন আসামী বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। কিন্তু ডাকাত সর্দার আজম আলী ঘটনার পরপরই মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যায়। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না ডাকাত আজম আলীর।
অভিযান পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার ছাতক সার্কেল বিল্লাল হোসেন, ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল, এসআই দেলোয়ার হোসেন, ইয়াসিন মুন্সি, সাইফুল ইসলাম, এএসআই সুমন কুমার গোপ, জয়নাল আবেদীনসহ সহ আরো একদক পুলিশ।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *