ছাতকে নদী ভরাট করে দোকান নির্মাণ ঃ প্রশাসন নিরব

সিলেট
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার পশ্চিম সীমান্ত ও ছাতকের পূর্ব দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত সোনালী বাংলা বাজারে মাকুন্দা নদী ও তীর দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এলাকাবাসী প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করলেও ছাতক উপজেলা প্রশাসন রহস্যজনক কারনে কার্যকরি কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেনা। নদী দখল করে যে জায়গায় দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে, সেই স্থানটি ছাতক উপজেলার আওতাধীন। নদীতে দোকান নির্মিত হওয়ায় বর্ষাকালে পানি প্রবাহে বাঁধার সৃষ্টি হয়ে বন্যা আশংঙ্কা রয়েছে।
এলাকাবাসি জানান, ব্রাম্মণ জুলিয়া মৌজার জেএল নং-৪১১, খতিয়ান নং-১ এবং দাগ নং ১৯৪৪ এ বর্ণিত ভূমিতে ৮টি পাকা দোকান ঘর নদীর নিচ থেকে ঢালাই করে নির্মাণ করা হচ্ছে। সোনালি বাংলা বাজার পরিচালনা কমিটি প্রতিটি দোকান থেকে ৩/৪ লক্ষ টাকা নিয়ে এসব সরকারি জায়গা বিক্রি করেছেন। এলাকাবাসি বাধা আপত্তি দিলেও কেউ কোন পাত্তা দেয়নি। ছাতক উপজেলা প্রশাসন ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনে দোকান নির্মানের ভিডিও সহ অভিযোগ দেয়া হলে স্থানীয় জাহিদপুর তফসীল অফিসেন কর্মকর্তারা সরেজমিনে এসে দোকান নির্মাণকারিদের সাথে দেখা করে খরচপাতি নিয়ে চলে যান।
জাহিদপুর ভূমি অফিসের উপসহকারি কর্মকর্তা অসিস কুমার চক্রবর্তি জানান, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকাজ বন্ধের কথা বলা হয়েছে। কয়েক মাস পূর্বে লাল পতাকা টানিয়ে নির্মাণকারিদের সতর্ক করেও দেয়া হয়েছিল।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইসলাম উদ্দিন বিষয়টি জানার পর অবৈধ স্থাপনা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান। যদি স্থাপনা কাজ বন্ধ না হয় তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সোনালি বাংলা বাজার পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রুপ নদীতে দোকান বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, মসজিদের উন্নয়নের জন্য দোকানের জায়গা বিক্রি করা হয়েছে।
বলা আবশ্যক যে, বিশ^নাথ-ছাতক-জগন্নাথপুর এ তিন উপজেলার পানি প্রবাহের একমাত্র নদী হচেছ মাকুন্দা নদী। নদীটি এমনিতেই তলদেশ ভরাট ও দখলবাজদের কারনে পানি থাকে না এবং বর্ষাকালে পানি বাধাপ্রাপ্ত হয়ে এলাকায় ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন পত্রপত্রিকায় লেখালেখির পর নদীটির খনন কাজ শুরু হলে সোনালী বাংলাবাজার এলাকার কিছু অংশ খনন করে নদীর তীর দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা করা হয়েছিল। এই রাস্তা ও নদী অনেকাংশ বাজার কমিটি বিক্রি করে দিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের চরম ক্ষতি করছেন। স্থানীয় প্রশাসনও বিক্রির ভাগভাটোয়ারা পেয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছেন। গণমাধ্যমনামধারী কিছু কর্মীও কমিটির নিকট থেকে বকশিষ আদায় করে মূখ বন্ধ করে রয়েছেন।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *