স্টাফ রির্পোটার: বিশ্বনাথ উপজেলার চাউলধনী হাওরের অপকর্মের মূলহোতা ও ডাবল মার্ডারের আসামী আব্দুল জলিলকে গ্রেফতার করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। ১৩ মে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে গোলাপগঞ্জের বখতিয়ারঘাট এলাকার পাহাড় লাইন গ্রামের জনৈক আছদ্দর আলীর বাড়ী থেকে এক সাড়াসী অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নবাগত ওসি গাজী আতাউর রহমান রাজুর তত্বাবধানে ওসি(তদন্ত)রমা কান্ত প্রসাদ ও এসআই মোয়াজ্জেম এবং এসআই অরূপ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। আব্দুল জলিল চাউলধনী হাওরের লীজগ্রহিতা দশঘর মৎসজীবি সমবায় সমিতির কথিত সভাপতি ও গাগুটিয়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের পুত্র। সে কৃষক দয়াল ও স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলার আসামী। মৎসজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি দাবী করে বিভিন্ন অপকর্ম করলেও সিলেট সমবায় অফিসের তালিকায় সভাপতি হিসেবে তার নাম নেই। এমন তথ্য প্রমাণও হাতে রয়েছে। সমবায় অফিসে জাল কাগজপত্র ও ভূয়া সদস্যের নাম লিখিয়ে কথিত মৎসজীবি সমিতি গঠন করে চাউলধনী হাওর লীজ গ্রহণ করে। এতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তা সমিতি গঠনে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব সমিতি গঠনে এবং চাউলধনী হাওর লীজ নিতে বড় অঙ্কের টাকা খরচ করে সাইফুল। সে সাইফুলের দাপটে এলাকায় নিজ গোত্রের লোকজনকে মানুষ বলেও গণ্য করতো না। সাইফুলের যেমন দাপট ছিল, তারচেয়ে বেশি দাপট দেখাতো জলিল। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য আবুল কালাম ও ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন।
বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান রাজু গ্রেফতারের সতত্যা স্বীকার করে বলেন, কোন হত্যাকারী পার পেতে পারবে না। পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই হবে।