নিজস্ব প্রতিবেদক:: বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের ফসল তরী-তরকারী, শাক-সবজি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উৎপাদন করছেন বাংলাদেশী প্রবাসীরা । কেউ শখের বশীভূত হয়ে, কেউবা আবার বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন করে থাকেন। এক সময় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশী প্রবাসীরা পতিত জমি, বাসা-বাড়ীর আঙ্গিনায় নানা ধরনের ফুল, ফল ও সবজি চাষ করে বিদেশীদের আকৃষ্ট করতেন। এখন ইউরোপ, আমেরিকার দেশেও প্রবাসীরা কৃষি কাজে ও বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে উদ্যোগী হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল সহ বিভিন্ন ভাবে প্রবাসীদের সচিত্র উৎপাদন দেখা যায়।
এমন একজন সৌখিন প্রবাসী হলেন যতীন্দ্র মোহন দাস। তার বাড়ী সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার ২নং খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বাবুনগর গ্রামে। ছাত্র জীবনে তিনি দোহাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পঞ্চম শ্রেণী ও উত্তর বিশ্বনাথ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। মদন মোহন কলেজে লেখাপড়া শেষ করে ওমানে চলে যান। সেখানে তিনি ঠিকাদারী ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। তারপর তিনি কানাডায় চলে যান, বর্তমানে তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন স্ব-পরিবারে।
কথা হয় যতীন্দ্র মোহন দাসের সাথে। প্রায় সময় তিনি এলাকার ক্লাসমিট, সহপার্টি, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, আত্মীয় স্বজন পাড়াপ্রতিবেশীর খোজখবর নেন। মাঝে মধ্যে তিনি প্রবাস জীবনের সুখ দুঃখের কাহিনী বলেও থাকেন। এক পর্যায়ে জানালেন, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ফসলের বীজ নিয়ে কানাডায় ভাড়া নেয়া বাড়িতে বাংলা লাউ, মিষ্টি কুমড়া, মুলাসহ বিভিন্ন জাতের দেশীয় ফল, তরী-তরকারী, সবজি উৎপাদন করছেন। এসব তিনি কখনও বিক্রি করেন না। সেখানকার বাঙালি কমিউনিটির মধ্যে বিতরণ করে থাকেন। এভাবেই অনেক বাঙালি প্রবাসীরা কৃষি কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। ফলে, সেখানকার বাসিন্দারা কৃষি উৎপাদনে বাঙালি প্রবাসীদের নানা সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। ছবিতে যতীন্দ্র মোহন দাসের উৎপাদিত চমৎকার ও সুন্দর ফসল দেখা যাচ্ছে।