চারটি ছবির মধ্যে রয়েছে- শীতকালীন সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, কাঁচামরিচ বেগুন, টমেটো। একটি ছবিতে দেখা যায়, ইঞ্জিনচালিত নৌকা করে চাষিরা সবজি নিয়ে এসেছেন ও সেখান থেকে বাঁশের পাত্র করে সবজিগুলো বিক্রয়ের জন্যে নিয়ে আসছেন। অন্য ছবিতে দেখা যায় নদীর পাড়ে সারি সারি করে সাজানো শীতকালীন বেগুন, টমেটো, ফুলকপি বাঁধাকপি ও কাঁচা মরিচ।
জানা যায়, কানাইঘাটে সুরমা নদীর জেগে ওঠা চরে শীতকালীন সবজির হাট বসিয়ে এসব সবজি বিক্রি করেন স্থানীয় চাষিরা। উপজেলার পূর্ব বাজারের পাশে সুরমা নদীর চরে বসে এ হাট।যাকে অনেকেই ভোরের সবজি হাট বলে ডাকেন।
শীতের সময় প্রতিদিন সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য বসে ভাসমান এ বাজার। এ সময়ের মধ্যেই কয়েক লাখ টাকার সবজি বিক্রি হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় কৃষকরা নদীর তীরবর্তী ভাসমান এ বাজারে সবজি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। সবজি বিক্রি করে এখন পকেট ভর্তি টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন সবজি চাষিরা। প্রতিদিন ভোরে সুরমা নদীর চরে বসে সবজির হাট। এ হাটটি সিলেটের সবচেয়ে বড় শীতকালীন সবজির হাট বলে অনেকে মনে করেন।
প্রকাশিত ছবিগুলোতে অনেকেই কমেন্ট করেন। কমেন্টে আহসান হাবিব নাবিল নামে একজন চায়না ডেইলিকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেন, ‘এটা কানাইঘাটের ছবি, যা ভারতের সীমান্তের কাছে বাংলাদেশের সিলেটের একটি উপজেলা শহর। প্রতি বছর এখানে প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি জন্মে, যার বেশিরভাগই চাষ করা হয় সুরমা নদীর তীরে।
আব্বাস উদ্দিন নামের একজন লিখেছেন, ‘এটা আমাদের স্থানীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির স্মারক, পাশাপাশি এটা সম্পূর্ণ অর্গানিক খাবারও। এই সবজি না খেলে আপনি এর স্বাদ অনুভব করতে পারবেন না।
এব্যাপারে কানাইঘাটের স্থানীয় সাংবাদিক মাহবুবুর রশিদ বলেন, ‘শীতকালে সুরমা নদীর তীরে ফজরের নামাজের পর থেকে সবজির হাট বসে। ভোর থেকে সকাল ১১-১২টা পর্যন্ত পাইকারী ধরে সবজি বিক্রি করা হয়। এ বছর সবজি চাষীদের ফলন ভালো হয়েছে। তারা ন্যায্যমূল পেয়ে বেশ খুশি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশের ব্যাপারে তিনি বলেন, শুধু কানাইঘাটবাসী নয় সিলেটবাসীও বেশ খুশি ছবিগুলো প্রকাশ হওয়ায়। ছবি প্রকাশের পর থেকেই অনেকেই তাদের ফেসবুকে শেয়ার করছেন।