নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বনাথ থানার সীমান্তবর্তী ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামির ইউনিয়নের বড় ধিরারাই গ্রামের আর্টিলারি সৈনিক শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রুপ চৌধুরীর পুত্র আব্দুস সালাম চৌধুরী আক্তারকে প্রাণে হত্যার প্রচেষ্টা মামলার আসামি একখও গ্রেফতার হয়নি। ফলে আক্তার ও তার বৃদ্ধা মাতা পূণরায় হামলার শিকার হতে পারেন। গত ১৩মার্চ চাচা ও ভাইগণ তাকে প্রাণে হত্যার জন্য আক্রমন করলে তার মাথায়, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর জখম হলে তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানাযায়, আর্টিলারি সৈনিক নং-১২৫৪১১৩, আব্দুর রুপ চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণ করে সম্মূখ যুদ্ধে শহীদ হন। সে সময় থেকে স্ত্রী ও একমাত্র পুত্র আক্তার নিজ ভিটায় বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু তার এক চাচা ও চাচাত ভাইগণ তাকে জোর পূর্বক বাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য দীর্ঘদিন ধরে নানা অজুহাতে উঠে পড়ে লেগেছেন। প্রায় সময় আক্তারকে বাড়ির রাস্তা দিয়ে বের হতে দেয়া হয়না। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরেজমিনে দেখে বৈঠক করে বিষয়টি স্মরণলিপির মাধ্যমে আপোষ মিমাংসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আক্তার স্মরণলিপিতে স্বাক্ষর করলেও যুক্তরাজ্য প্রবাসি চাচা ও ভাইগণ নানা অজুহাতে স্মরলিপিতে স্বাক্ষর না করে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। গত ১৩মার্চ আক্তার একটি ঠেলাগাড়ি যোগে কিছু বালু বাড়িতে নিয়ে ঢুকার সময় পূর্ব পরিকল্পিকভাবে দা. ডেগার ও লোহার পানির পাইপ দিয়ে আক্তারকে প্রাণে হত্যার জন্য আক্রমন করা হয়। অসংখ্য আঘাতের কারনে আক্তার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুত্বর জখমি আক্তারকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার দুদিন পর আক্তার হোসেন ৫জনকে আসামি করে দন্ডবিধি আইনের ৩০৭/৩২৬/৩২৫/৩২৩/৩৪১/১৪৩/১১৪/৫০৬ধারা মতে থানায় একটি (মামলা ০৮, তারিখ ১৬/০৩/২০২৪ইং) দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিকে ঘরে পেয়েও গ্রেফতার করেননি। ইতিমধ্যে দুইজন আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। বিবাদিরা আক্তার ও তার মা নিয়ে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আক্তার তার জানমালের নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগীতা চেয়েছেন।