অনলাইন ডেস্ক :: ‘উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য’ মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ২৪ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের ১৩ জনের জন্মস্থান চট্টগ্রাম বিভাগে। একই অঞ্চল থেকে এতজন উপদেষ্টা থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকেই এই বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এমন বৈষম্য দূর করতে সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচিও করেছে।
উপদেষ্টা পরিষদে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ৭ জন, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। উপদেষ্টা পরিষদে নেই রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কেউ। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের একজন করে আছেন।
একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লা জেলা থেকে উপদেষ্টা হয়েছেন বেশি।
রাজনৈতিক সরকারের সময়েও মন্ত্রী নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভাগ ও অঞ্চল বিবেচনা করে নিয়োগ দেয়া হয়, যাতে সব অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব থাকে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষেত্রে অঞ্চল বিবেচনায় বড় বৈষম্য তৈরি হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে যুক্ত হওয়া ১৩ উপদেষ্টার দপ্তর-উপ দপ্তরেও তাদের নিজস্ব এলাকার ব্যক্তিদের গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তাদেরকে অপসারণের দাবিতে গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, উপদেষ্টা নিয়োগের মধ্যে দিয়ে ছাত্রদের রক্তের ওপর আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন হচ্ছে। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরাপত্তা দিতে শিক্ষার্থীরা বারবার রাস্তায় নামবে না।
সেখ বশির উদ্দনকে উপদেষ্টা করায় শপথ গ্রহণের পরপরই গত রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গভবন এলাকায় মশাল মিছিল করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। ফারুকীকে উপদেষ্টা করায় এদিন রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। যশোর, সিলেটেও বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা।
এদিকে, ফারুকীকে উপদেষ্টা করায় ‘হেফাজতে ইসলাম’ এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মোহাম্মদ আবু হেনার মতে, দেশে নির্বাচনের পদ্ধতি পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই। দেশের চলমান নির্বাচন পদ্ধতিই কার্যকর হতে পারে। দেশের মানুষ এ পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত।
গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে এ সময় কথা বলেন মোহাম্মদ আবু হেনা। বলেছেন, যেসব দেশে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি চালু আছে, সেসব দেশ যে ভালোভাবে চলছে, এটি মনে করবেন না। এটি আমি নিজে জানি, নেপাল-ইসরায়েল এসব দেশে ভালো চলছে না।
যত ভালোই আইন, সংস্কার হোক না কেন, এর প্রয়োগ না হলে, তা অর্থবহ হবে না উল্লেখ করে তিনি নির্বাচনী আইন প্রয়োগের ওপর জোর দেন।
রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়নের কথা বলেন সাবেক এ সিইসি। জানান, ভালো নির্বাচনের জন্য দরকার ভালো সিইসি ও কমিশনার।
সমকালের পথম পাতার একটি সংবাদের শিরোনাম এটি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া ৭ বছরের সাজা হাইকোর্টে স্থগিত হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হতে পারবেন তিনি।
৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের খালেদা জিয়াকে সাজা মওকুফ করেন রাষ্ট্রপতি।
তবে তার আইনজীবীরা বলছেন, সাজা মওকুফ হলেও আইনি লড়াইয়ে নির্দোষ প্রমাণিত হতে চান বিএনপি চেয়ারপারসন।
সংবিধান অনুযায়ী, ফৌজদারি অপরাধে কারও দুই বছরের বেশি সাজা হলে, মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা থাকলেও সেগুলোতে সাজা হয়নি। তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলার কথা বলা হয়েছে এতে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নয়া উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে গতকাল সোমবার একটি ছবি শেয়ার করে এ তথ্য জানান। আর এ নিয়ে খবরটি ছেপেছে। আজকের আরও একাধিক পত্রিকায় সংবাদটি এসেছে।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে শেয়ার করা মাহফুজ আলমের ছবিতে দেখা যায়, উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণের স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। যেখানে শেখ মুজিবের ছবি নেই। আগে সেখানকার দেয়ালে টাঙানো ছিল শেখ মুজিবের ছবি।
ছবির ক্যাপশনে উপদেষ্টা লেখেন, দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমান, ৭১-পরবর্তী ফ্যাসিস্টের ছবি সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি। ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু মানুষের জুলাইয়ের চেতনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তাকে কোথাও দেখা যাবে না।
যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর এটি। রোজাকে টার্গেট করে বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পুরোনো সিন্ডিকেট আবারও সক্রিয় হয়েছে। কোম্পানিগুলো মিল পর্যায় থেকে তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে। ডিলারের কাছে কমিয়ে দেয়া হয়েছে সরবরাহ। আর ডিলার থেকে খুচরা বাজারে সরবরাহ কমিয়ে বাড়ানো হচ্ছে দাম।
তবে বাড়তি দামেও চাহিদামতো তেল পাচ্ছেন না খুচরা বিক্রেতারা। এতে বাজার থেকে এক প্রকার উধাও হচ্ছে সয়াবিন তেল।
তেলের দাম সহনীয় রাখতে গত ১৭ অক্টোবর পাম ও সয়াবিন তেলের মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। আর উৎপাদন ও ব্যবসা পর্যায়ে সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি দেওয়া হয়।
তবে মাসের ব্যবধানে লিটারে ২০ টাকা বেড়ে খোলা সয়াবিন খুচরা বাজারে ১৮৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর লিটারে ৩ টাকা বেড়ে বোতলজাত বিক্রি হচ্ছে ১৬৭-১৭০ টাকা।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বরে প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১ হাজার ১০৫ ডলার। গত আগস্টে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১ ডলারে, সেপ্টেম্বরে আবার কিছুটা বেড়ে ১ হাজার ৪৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে সার্বিকভাবে এর দাম নিম্নমুখী। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও দেশের বাজারে এর দাম ঊর্ধ্বমুখী।
এমন অবস্থায় মূল্য বৃদ্ধিতে আসন্ন রোজায় বাজার আরও অস্থির হওয়ার আশঙ্কা করছেন ভোক্তারা।
দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম এটি।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আলু, পেঁয়াজ, ভোজ্য তেল, ডিম ও চাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে। কিন্তু বাজারে তার সুফল মিলছে না। বাড়তি দামেই নিত্যপণ্য কিনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
গত তিন মাসে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার আলু আমদানিতে শুল্কহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
শুল্ক ছাড়ের সুবিধা নিলেও গত তিন মাসে ব্যবসায়ীরা এ দুই পণ্যের দামে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়িয়েছেন। এছাড়া, দেশে আলুর উৎপাদনও যথেষ্ট রয়েছে।
আলু ও পেঁয়াজের মতো একই চিত্র ভোজ্য তেলের বাজারে। পরিশোধিত সয়াবিন তেল, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, অপরিশোধিত পাম তেল ও অন্যান্য অপরিশোধিত ভোজ্য তেল আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করে সরকার। কিন্তু বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ সরকার স্থানীয় পর্যায়ে দাম না বাড়ানোর শর্তে শুল্ক কমিয়েছিল। এখন ভোজ্য তেল ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে আবেদন করছেন তেলের দাম বাড়ানোর জন্য।
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার শিরোনাম এটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আজারবাইজানের বাকুতে চলমান জলবায়ু সম্মেলনে (কপ২৯) স্বল্পোন্নত ও অতিবিপন্ন দেশগুলোর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা ভবিষ্যতের জন্য একটি কার্বনমুক্ত বিশ্ব গড়তে জীবাশ্ম জ্বালানি সমাপ্তির সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দাবি করেছেন।
কপ২৯ এর ভেন্যুতে ‘স্বল্পোন্নত ও অতিবিপন্ন দেশগুলোর জনগণের প্রত্যাশা এবং কপ২৯’ শীর্ষক একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গতকাল। তাতেবাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইনের বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
তাদের দাবি, ২০৪০ সালের মধ্যে কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করতে হবে। ২০২৫-৩০ সালের জন্য নতুন সম্মিলিত জলবায়ু অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে ধনী দেশগুলোকে তাদের মোট জাতীয় আয়ের একটি অংশ প্রদানের দাবিও তোলা হয়।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব মোকাবেলায় পদক্ষেপ বিষয়ে বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের ২৯তম আসর শুরু হয়েছে গতকাল। এবারের সম্মেলনে বিশ্বের শতাধিক দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান যোগ দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী বাংলাদেশের ইকুইটিবিডির আমিনুল হক বলেন, কপ২৯ আলোচনায় প্রস্তাবিত এক বিলিয়ন ডলারের ‘ক্লাইমেট ফিন্যান্স অ্যাকশন ফান্ড’ বিষয়টি একটি অস্পষ্ট বিষয়। জলবায়ুর আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতির ট্রিলিয়ন ডলার নিশ্চিতকরণের মূল দাবি থেকে দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কৌশল এটি।
প্রবাসীদের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ডেডিকেটেড বা বিশেষ লাউঞ্জ করা হয়েছে। যার নাম প্রবাসী লাউঞ্জ। গতকাল এটি চালু করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত খবর আজ অনেক সংবাদপত্রে এসেছে।
এই লাউঞ্জে বাংলাদেশি অভিবাসীকর্মীদের বিশ্রামের জন্য জায়গা এবং সুলভ মূল্যে খাবার পাওয়া যাবে। সুলভ মূল্যে খাবার পরিবেশনের জন্য এতে ভর্তুকি দেবে সরকার।
লাউঞ্জের উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে অভিহিত করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। প্রবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের যে প্রাপ্য সম্মান, সেটি যেন জাতি দিতে পারে। সেই সম্মান দেওয়ার জন্য আজকের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে প্রবাসী লাউঞ্জ উদ্ধোধন করা হলো। আশা করি, আরও বহু ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।