অনুপ্রবেশকারি পংকি খানের পোষ্টার নিয়ে সিলেটে তোলপাড় : গ্রেফতার দাবী

Uncategorized
শেয়ার করুন

ডাক ডেক্স : সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন আগামি ৫ ডিসেম্বর অনুষ্টিত হবে। এই সম্মেলনকে সামনে রেখে একটি পোষ্টার নিয়ে পূরো সিলেটে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। পোষ্টরটি এখন ‘টক অব দ্যা টাউন’। সিলেটের প্রকৃত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা দারুন খুশি। সিলেট নগর ও বিশ্বনাথ উপজেলা সহ বিভিন্ন স্থানে বড় আকারের পোষ্টারটি দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে। পোষ্টারের প্রথমেই বলা হয়েছে ‘আর কোন দাবি নাই, হাইব্রিড মুক্ত আওয়ামীলীগ চাই,। বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পংকি খানকে বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননা, শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা, স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীকে লাঞ্চনাকারি হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাকে গ্রেফতারের দাবী করা হয়। তারেক রহমান ও ইলিয়াস আলীর সাথে বড় ধরনের দুটি ছবি পোষ্টারে শোভা পাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন সহ জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে তার ছবি রয়েছে। ৬ টি বন্দুক দিয়ে পংকি খান আওয়ামীলীগের ৭০ জন নেতাকর্মীকে আহত ও বিশ্বনাথে আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধকারি হিসেবে অভিযুক্ত করে তার বহিস্কার দাবি করা হয়। পংকি খানের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা হিসেবে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন সহ জড়িতদের বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়। পোষ্টারে বিশ্বনাথ উপজেলা তৃণমূল আওয়ামীলীগ কতৃক প্রচারের কথা উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য যে, ১৯৯১ থেকে ৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ১০ বছর পংকি খান বিএনপিতে থাকাবস্থায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের অনেক অত্যাচার নির্যাতন করেছিলেন বলে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের পর পংকি খান লেবাস পাল্টিয়ে শফিকুর রহমান চৌধুরীর সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেন। ২০১৫ সালে ৮ জুন বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে গভীর রাতে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ হঠাৎ পংকি খানকে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে নাম ঘোষনা করলে সভায় মারামারি হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। তখন জেলার নেতারা পুলিশ প্রহরায় সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন। বিষয়টি আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করলে পংকি খানকে সভাপতি করে প্রস্তাবিত কমিটি প্রধানমন্ত্রী স্থগিত ঘোষনা করেন। তার পর আবার পংকি খানকে দিয়ে কমিটি ঘোষনা করে জেলা আওয়ামীলীগ। যে কারনে গত ৪ বছর ধরে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা অনুপ্রবেশকারিদের বিতাড়নের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগে বার বার অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত ২ অক্টোবরে সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় বষীয়ান রাজনীতিবিদ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলির অন্যতম সদস্য তোফায়েল আহমদের উপস্থিতিতে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ পংকি খানকে অনুপ্রবেশকারি হিসেবে আখ্যায়িত করে তাকে বহিস্কারের দাবি জানান। বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে আওয়ামীলীগের সভাপতি করায় কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ চরম ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী জানিয়েছেন পংকি খানকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে দলের পদ দিয়ে আওয়ামীলীগের ঐতিহ্যের বুকে কলংকের তিলক মারা হয়েছে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *