নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার উত্তর বিশ্বনাথ শাহী ঈদগাহের ইমাম মাওলানা শফিকুর রহমানকে বয়কট ঘোষনা করেছেন এলাাবাসি। এলাকাবাসি তাকে বয়কট করে পৃথক জামাতের ঘোষনা দেয়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। শফিকুর রহমান ১৯৮৯সাল থেকে অদ্যাবধি ঈদগাহের ইমাম ও ক্যাশিয়ার ছিলেন বলে এলাকাবাসি জানিয়েছেন। দীর্ঘ এ সময়ে প্রবাসিদের নিকট থেকে প্রাপ্ত এ টাকা ও ঈদের জামাতে দানকৃত টাকার কোন হিসাব দিচ্ছেন না। তিনি একটি মাদরাসার অধ্যক্ষ থাকাকালীণ সময়ে ও নিজের গ্রাম পাকিচিরি জামে মসজিদ ও প্রীতিগঞ্জ বাজার জামে মসজিদের টাকা আত্নসাৎ ও অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনে ইমামতি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
শফিকুর রহমান সরাসরি বিএনপির রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত। ২০০১সালে লামাকাজির একটি ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইটিং অফিসারের হয়ে অর্থের লোভে একটি প্রার্থীর পক্ষে নিজে ব্যালটে শীল মেরে বাক্স ভরে দেন। এতে কেন্দ্রে গন্ডগোল হলে আওয়ামীলীগের এজেন্টদের মামলা করে জেল খাটান। শফিকুর রহমানের নিকট ঈদগার টাকা জমা থাকলেও ২০-২৫বছর পাকা গলির ঢালাই মেরামত না করায় কাদাপানিতেই মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেছিলেন। পরে একটি কমিটি গঠন করে ঈদগার মেরামত কাজ করা হয়। এই কমিটির নিকট হিসাব দিমু দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকেন। গত ২বছর ধরে ১৩টি গ্রামের অধিকাংশ লোক তার ইমামতিতে অনাস্থা এনে বয়কট করে আলাদা ঈদের জামাত আদায় করে আসছেন। বিষয়টি মাওলানা হুসামউদ্দিন ফুলতলীকে অবহিত করলে তিনি বলেছিলেন, কোন ইমাম ধর্মীয় প্রতিষ্টানের ক্যাশিয়ার থাকতে পারেন না।
আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে একাধিক বৈঠক করে শফিকুর রহমানকে বয়কট ঘোষনা করা হয়েছে।
তেলিকোনা গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, একজন ইমাম হয়ে ঈদগার টাকা আতœসাৎ করায় তার পিছনে নামাজ পড়া যায়না। তেঘরি গ্রামের নুরুল হক, জয়নগর গ্রামের নজির মিয়া, গোবিন্দনগর গ্রামের ফয়জুল ইসলাম বলেন, একজন ইমাম হয়ে র্নিলজ্জভাবে টাকা আতœসাৎ করে ইমামতি করার জন্য নিজের ছাত্র নিয়ে কমিটি গঠন করান।
সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম ফিরোজ আলী বলেন, শফিকুর রহমানের নৈতিকতা নিয়ে এলাকায় কঠোর সমালোচনায় কয়কট ঘোষনা করা হয়েছে। আল-ইসলার কেন্দ্রীয় মহাসচিব একেএম মনোওর আলী বলেন, এলাকাবাসি বয়কটের রেজুলেশন কপি পেয়েছি। কিন্তু শফিকুর রহমান আমাদের কথা শুনছেন না।
মাওলানা শফিকুর রহমানকে ঈদগাহের টাকা আত্নসাতের বিয়তে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, নতুন কমিটির নিকট হিসাব দিয়েছি। আগামি কালকের জামাতে ইমামতি করতে আমাকে এখনও কেউ নিষেধ করেনি। বিশ্বনাথ থানার ওসি রমা প্রশাদ চক্রবর্তি এলাকাবাসির রেজুলেশনের প্রাপ্তি স্বীকার করে বলেন, ঈদের জামাত নিয়ে কেউ কোন বিশৃংখলা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।