নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা থানার এলাকার লালা বাজার শাহ আব্দুর রহিম (র.) মাজারের বিরাট ভারি দুটি দানবাক্স ভেঙ্গে প্রায় লক্ষাধিক টাকা লুট করা হয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ পুলিশের উপস্থিতিতে একদল সস্ত্রাসী বড় বড় হেমার, হাতুড়ে, সাবল, লোহা কাটার গ্রান্ডার মেশিন দিয়ে মাজারের সামনে রাস্তার উত্তর ও দক্ষিণ পাশে পাকা দুটি দানবাক্স ভেঙ্গে টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এই মাজারে খাদেমের দায়িত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফকিরের গাঁও গ্রামের বর্তমান খাদেম নিজাম উদ্দিন ও একই গ্রামের মশাহিদ, আব্দুস শহীদ ও আরজুমন্দ আলীর মধ্যে বিরুধ চলে আসছিল। নিজাম উদ্দিন মোতাওয়াল্লী হয়ে লোকজনের দানকৃত দানবাক্সের জমাকৃত টাকা কড়ায় গন্ডায় হিসাব করে রাখতেন। ইতিপূর্বে নিজাম উদ্দিনের প্রতিপক্ষের লোকজন মাজারের অনেক টাকা লুটপাট করে খাওয়ার অভিযোগ থাকায় তাদেরকে বাদ দিয়ে গ্রামবাসি নিজাম উদ্দিন প্রবীণ এই মুরব্বিকে খাদেমের দায়িত্ব প্রদান করেন। কিন্তু নিজাম উদ্দিনকে প্রতিপক্ষের খাই খাই পাটির লোকজন কোন মতেই সহ্য করতে পারছিল না। যে কারনে গতকাল রবিবার বিকাল ৫টার দিকে প্রায় ৩০/৪০জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মাজারের দানবাক্স ভেঙ্গে টাকা নিয়ে যায়। এসময় শত শত লোক এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন এবং দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। এ ব্যাপারে মাজারের খাদেম নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি এজহার দাখিল করলে এ রিপোট লেখা পর্যন্ত মামলা রেকর্ড হয়নি। অথচ মাজারের দানবাক্স ভাংচুর করে লুটপাটের একটি ভিডিও ফেসবুকে ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
নিজাম উদ্দিন জানান, মাজারে প্রতিদিন সিলেট-ঢাকা রোডে আসা যাওয়া এ মাজারের ভক্তলোকজন শত শত গাড়ি দাঁড় করিয়ে দানবাক্সে টাকা জমা দিতেন। বিপুল পরিমান টাকার লোভে একদল সন্ত্রাসী মাজারের দুটি দানবাক্স ভেঙ্গে লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে যায়। থানায় এজহার দালিখ করার পরও এখন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসির ০১৩২০-০৬৭৬৮৮নম্বর মোবাইলে একাধিকবার কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।