নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বিশ্বনাথ উপজেলার মাহতাবপুর মৎস আড়তের একটি দোকান ভাংচুর, ৩জনকে মারপিট করে গুরুত্বর জখম করার অভিযোগে সিলেট জেলা সমবায় কর্মকর্তা চন্দন দত্ব ও বিশ্বনাথ থানার এসআই অনিকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে।
আজ (১৫মে) বুধবার বিকেলে মাহতাবপুর বাজার এলাকায় সাবেক মেম্বার হেলাল উদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মাহতাবপুর মাছের আড়তের কমিটি গঠন নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে ১২৮৮০/২২, রিট পিটিশন দায়ের করা হলে মহামান্য হাইকোর্ট একাধিকবার কমিটি গঠনে স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। এই স্থগিতাদেশ এখনও বলবৎ আছে। কিন্তু হাইকোটের নির্দেশ অমান্য করে জেলা সমবায় কর্মকর্তা চন্দন দত্ত রিটকারি প্রতিপক্ষ ৩জন লোক দিয়ে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করেন। সমবায় কর্মকর্তা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করায় সুপ্রিমকোর্টের আপিলের ডিভিশনে রিট পিটিশন নং-১২৭০৫/২০২৩ দায়ের করলে আদালত রিটকারিদের ১৫জন সদস্যকে আড়তের কমিটিতে অন্তরভুক্ত করার নির্দেশ দেন। কিন্তু সমবায় কর্মকর্তা সুপ্রিমকোর্ট-হাইকোর্টের নির্দেশ মানতে বাধ্য নয় বলে জানিয়ে দেন এবং ৫লাখ টাকা ঘোষ দিলে ১৫জনকে কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করবেন বলে জানান। তার এ দাবি অমান্য করায় সমবায় কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার ওসিকে আড়তের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পত্র দেন। গত ২৭এপ্রিল দিবাগত রাতে এসআই অনিক বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সামসুল হককে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে এসে কোন মামলা ছাড়াই ১৬ঘন্টা আটক রাখেন এবং ১লক্ষ টাকা ঘোষ নিয়ে ছেড়ে দেন। ১৪মে মঙ্গলবার এসআই অনিক মাহতাবপুর আড়তে একদল পুলিশ নিয়ে একটি দোকান ভাচুর, সাদিক আহমদ, আবু মুসা ও তারেক নামের ৩জনকে গুরুত্বর জখম করেন।
অভিযোগে বলা হয়, আদালতের নির্দেশ ছাড়া পুলিশ কারো দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ বা ভাংচুর করতে পারেনা। এসআই অনিক দোকান ভাংচুর করে ২লাখ ক্ষতি ও প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ঘোষ গ্রহণ করে বেপরোয়া হয়ে মারপিট করেন। এতে এলাাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। সমবায় কর্মকর্তা চন্দন দত্তের অপসারণ ও এসআই অনিকসহ দায়ি পুলিশের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। দুর্ণীতিবাজ চন্দনের অতি লোভের কারনে ২/৩বছর পূর্বে একটি ভুয়া মৎসজীবি সমিতিকে রেজিষ্ট্রেশন দিয়ে দুটি হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। পুলিশি হয়রানি বন্ধে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
সামসুল হককে থানায় আটক, দোকান ভাংচুর ও মারপিটের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই অনিক সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন। জেলা সমবায় কর্মকর্তা চন্দন দত্ত ৩সদস্যের কমিটি ও থানায় পত্র দেয়ার বিষয়টি প্রথমে স্বীকার করে পরে তার অফিসে গিয়ে আলোচনা করার অনুরোধ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মৎস আড়তের সভাপতি আব্দুল মন্নান, সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক, সদস্য কালা মিয়া, জাকির হোসেন, সফাত আলী, আব্দুস সালাম প্রমুখ।