ওয়াজ মাহফিলের চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, আহত অন্তত১০

অপরাধ সুনামগঞ্জ
শেয়ার করুন

ডাক ডেস্ক : আজমীরিগঞ্জে কাকাইলছেওয়ের সৌলরী গ্রামে মসজিদের ভেতরে বাৎসরিক ওয়াজের টাকা চাঁদা নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে বাকবিতণ্ডা জেরে সংঘর্ষ, বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) কাকাইলছেওয়ের সৌলরী জামে মসজিদের ভেতর জুম্মা নামাজের সময় জামে মসজিদের ওয়াজ মাহফিলের চাঁদা তোলা নিয়ে জুম্মার নামাজের আগে মসজিদ কমিটির সদস্য সদর আলী মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া এবং একই গ্রামের প্রবাসী নজরুল ইসলামের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়।এর জের ধরে নামাজ শেষে মিলন মিয়া ও নজরুল ইসলামের লোকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

জানা যায়, অনুষ্ঠিতব্য ১০ ফেব্রুয়ারি সৌলরী জামে মসজিদের বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিল। ওয়াজ মাহফিল উপলক্ষে মসজিদে চাঁদা তোলা নিয়ে জুম্মার আগে আলোচনা করা হয়। এসময় প্রবাসী নজরুল ইসলাম বলেন কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে কত টাকা চাঁদা তোলা হয়েছে সেই পরিমাণ জানার পর বুঝা যাবে কত টাকা লাগবে বা তার ঘাটতি হলে লোকজনের কাছ থেকে তোলা হবে। নজরুল মিয়ার এ কথার জবাবে সদস্য মিলন মিয়া তা প্রত্যাখান করেন। ফলে দুজনের মাঝে মসজিদের ভিতরে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় তাৎক্ষণিক মসজিদের ভিতরে থাকা লোকজন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে নামাজ শেষে মিলন মিয়া এবং মসজিদ কমিটির কিছু সংখ্যক সদস্য প্রবাসী নজরুল ইসলামের বাড়িঘরে ইটপাটকেল ছুঁড়ে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লোকজনের উপর আক্রমণ চালান। এতে নজরুল মিয়ার পরিবারের লোকজন আহত হন। পরে আহতদের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। সংঘর্ষে আহতরা হলেন জাহাঙ্গীর মিয়া (৩৭), মোজাহিদ মিয়া (৩০), ইসলাম উদ্দিন (৫৫), ছানীর মিয়া (১২)।

এদিকে খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম বাবুল’র সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি হবিগঞ্জ ছিলাম, খবর পেয়ে আসি। ওয়াজের চাঁদা তোলা নিয়ে মিলন ও নজরুলের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নজরুলের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। ধর্মীয় উৎসব নিয়ে এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা বসে বিষয়টি মীমাংসায় নিয়ে আসার চেষ্টা করতেছি।

এবিষয়ে ওসি ডালিম আহমেদ জানান, মসজিদে বাকবিতন্ডার জেরে পরবর্তীতে দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ ও বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *