নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বাইশঘর গ্রামের খেজুর মিয়ার ছেলে সিজিল মিয়া (৩২) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে উপজেলার পূর্ব চান্দশিরকাপন গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ জুবেদ মিয়ার মেয়ে সোমা আক্তার (২০) এর। তাদের এই সম্পর্ক পরিণত হয় বিয়েতে। ২০২১ সালের ৫ নভেম্বর কাবিন রেজিস্ট্রীর মাধ্যমে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই ফেসবুকে সোমা আক্তারের সাথে পরিচয় হয় সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার উমদার পাড়া গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে সাহেল আহমদ (২৩) এর। একপর্যায়ে সাহেল আহমদের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন সোমা আক্তার। এরপর গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে পিত্রালয় থেকে পরকীয়া প্রেমিক সাহেল আহমদের হাত ধরে পালিয়ে যান সোমা আক্তার এবং পরদিন সিলেট আদালতে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে সাহেলকে বিয়ে করেন সোমা।
এদিকে, সোমা আক্তারের স্বামী সিজিল মিয়া ও উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া বিরুদ্ধে সোমাকে অপহরণ করে গুম করার অভিযোগ এনে সোমার সন্ধান কামনা করে বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের কাছে বিচার প্রার্থী হন সোমার মা সৈয়দা বেগম। এ বিষয়টি মেয়রের ফেসবুক পেইজে ভিডিও আপলোড করা হলে উপজেলা জুড়ে শুরু হয় তোলপাড়।
ওই ঘটনায় গত ৯ অক্টোবর সিজিল মিয়া ও উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়াকে অভিযুক্ত করে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে মামলা দায়ের করেন সোমা আক্তারের মা সৈয়দা বেগম। বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং ৩৯১/২০২৩ইং। মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। মামলায় সিজিল মিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়ার পিএস বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে।
এদিকে, সোমা আক্তার নিখোঁজ হয়েছেন দাবি করে তার স্বামী সিজিল মিয়া এইক দিন বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন (সাধারণ ডায়েরী নং-৩৪২)। তিনি ডায়েরীতে উল্লেখ করেন ২০ সেপ্টেম্বর সকালে কাউকে কোন কিছু না বলে তার স্ত্রী সোমা বেগম বাসা থেকে উধাও হয়ে যান। আর এই ডায়েরীর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১০অক্টোবর) দিবাগত রাতে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার উমদার পাড়া গ্রাম থেকে পরকীয়া প্রেমিক সাহেল আহমদসহ সোমা আক্তারকে আটক করে থানা পুলিশ।
পুলিশের ওসমানীনগর সার্কেলের এএসপি আশরাফুজ্জামান বলেন, স্বামীর জিডি মূলে সোমা আক্তারকে উদ্ধার করা হয়েয়ে। বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে আটক সাহেল আহমদকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।