বিশ্বনাথে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ঘটনায় আদালতে মামলা : উদ্ধার হয়নি অস্ত্র

অপরাধ বিশ্বনাথ
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :  সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মৌলভীরগাঁও গ্রামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংঘটিত হওয়ার ৬দিন পরও এখনও কোন অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়নি। প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলির পরও কোন অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। ফলে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় মৌলভীরগাঁও গ্রামের মৃত ছোয়াব আলীর পুত্র জয়নাল আবেদন বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা (সিআর-৪৫/২০২৩) দায়ের করেন। সিলেটের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন (দ্রুত বিচার) আদালতে ২৫জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২৫০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে দ্রুত বিচার আইন ২০০২ সংশোধন ২০১৮ এর ৪/৫ ধারা মতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার শুনানীকালে আদালত ঘটনার সময় সিসি ফুটেজ, মোবাইলে ধারনকৃত ভিডিও চিত্র ও অস্ত্রের মহড়া এবং বাদীর গেইট ভাঙ্গার দৃশ্য দেখে দরখাস্তটি এজহার হিসেবে গণ্য করে  অনতিবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অফিসার ইনচার্জ বিশ্বনাথ থানাকে নিদের্শ প্রদান করেন। মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র আইনজীবি এএসএম গফুর।

এজহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ১১টার দিকে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাদী পক্ষের গেইট ভেঙ্গে জবর দখল করার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীর প্রতিরোধে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার স্থানীয় ও সিলেট শহর থেকে অস্ত্রবাজ, ভাড়াটিয়া দুই আড়াইশ জনের একদল সন্ত্রাসী অবৈধ বন্দুক, পিস্তল, দা, কুড়াল, শাবল, হেলার, গ্রীল মেশিন, সুলফি, ডেগার দিয়ে তিনদিক থেকে গুলি করে গেইট ভাঙ্গা শুরু করে। সন্ত্রাসীরা ৩০/৪০ রাউন্ড গুলি করে এলাকায় এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। গ্রামবাসী গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে আসতে চাইলে কয়েকজনকে সন্ত্রাসীরা লক্ষ্য করে বন্দুকের গুলি ছুড়ে। এতে তাঁরা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান। আশপাশের লোকজন গুলির শব্দ শুনে বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যেতে থাকেন। যুক্তরাজ্য সহ মৌলভীগাঁও গ্রাম থেকে এলাকাবাসি একাধিকবার থানা পুলিশকে ফোন করলে, প্রায় ৩০ মিনিটের রাস্তায় ৩/৪ ঘণ্টার পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। পুলিশের উপস্থিতিতে বিবাদী সন্ত্রাসীদের অস্ত্রসহ দেখিয়ে দিলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি বা অস্ত্র উদ্ধার করেনি। পুলিশের এ ধরনের ভূমিকায় সাধারন মানুষ আতংকিত।

বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম আদালত থেকে মামলার এজহার পেয়ে মামলাটি রেকড করেছেন। এ ব্যাপারে আইনানুগর ব্যবস্থা গ্রহণ হবে বলে তিনি জানান।

আসামীদের পক্ষে অনুরূপ একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *