এলাহাবাদ আলিম মাদরাসায় অধ্যক্ষের সাথে বিরুধের মুল কারন

ইসলাম বিশ্বনাথ সিলেট
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় জিহাদী কর্মকান্ড ও উগ্রবাগ দমন না করে জটিলতা সৃষ্টির জন্য দায়ী কেবা কারা এ নিয়ে সর্বত্র আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। মাদরাসার বিষয়টি এখন টক অব দ্য কার্ন্ট্রি। এলাকাসির সহযোগীতায় মাদারসাটি প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রতিষ্টার পর থেকে একটি পরিবারের নিয়ন্ত্রনে ছিল। কেউ কোন দিন মাদরাসার ধারে কাছেও যেতে পারতেন না। এ পরিবারটি পাকিস্তানি ভাবধারায় বিশ্বাসি ছিল এবং জামাত শিবিরের জিহাদী কর্মকান্ডের প্রশিক্ষনের জন্য মাদরাসাটি সিলেটের বহুল পরিচিত। এখানে প্রকাশ্য ও গোপনে জেহাদ ও উগ্রবাদের বিভিন্ন বৈঠক হতো। এসবের মুল নায়ক হলেন অধ্যক্ষের প্রতিপক্ষ মাদরাসা শিক্ষক মখলিসুর রহমান ও তার সঙ্গীরা। এ মাদরাসার বেশির ভাগ শিক্ষক জামাত শিবির রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত।

মাওলানা আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইন মাদরাসায় যোগদানের পর ক্ষতিপয় লোকের আসল রূপ ধরা পড়লে তার সাথে বিরুধ সৃষ্টি হয়। অধ্যক্ষকে মাদরাসা থেকে বিতাড়নের জন্য নানা অভিযোগ শুরু হয়। মাদরাসায় টাকা আতœসাতের অভিযোগে অধ্যক্ষকের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করলে তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হয়। পবিত্র রমজান মাসে বিভিন্ন অঞ্চলের লোক নিয়ে কোরআর প্রশিক্ষনের নামে জিহাদী কর্মকান্ড শুরু হলে অধ্যক্ষের সাথে বিরুধ তুঙ্গে ওঠে যায়। তারপর সরকার ৩তলা ভবন নির্মানের জন্য উপযুক্ত জায়গা প্রদানের জন্য পত্র প্রেরন করলে মাদরাসাটি কবর স্থান, স্কুল, মসজিদ ও বাড়ির ভেতর থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে খোলা জায়গায় নেয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহন করা ছিল অধ্যক্ষের বড় অপরাধ। তাই অধ্যক্ষকে বের করে দেয়ার জন্য যুক্তরাজ্য থেকে বিপুল পরিমান টাকা ব্যয় করা হয়। পুটি নেতা, পাতি নেতাসহ সুর্যমুখি এমপিকেও কৌশলে ভুল বুঝিয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নেয়া হয়। তিনিও নান হুমকি ধামকিসহ অনেক ক্ষমতা দেখিয়েছেন।

কিছুদিন পূর্বে লন্ডনে ‘আর রাহমান এডুকেশন ট্রাস্টের’ কর্ণধার সিলেট এসে প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ অনেককে বাসায় নিয়ে আদর আপ্যায়ন করে উপটোকন দিয়েছেন। অধ্যক্ষ এলাকাবাসিকে নিয়ে মাদরাসায় ঢোকার পরই লজ্জা পেয়ে ঐ ব্যক্তি লন্ডনে পালিয়ে গেছেন। অধ্যক্ষকে একাধিকবার সরকারি কাজে বাধাঁ প্রদান হত্যার হুমকি লাঞ্চনার পর একাধিক অভিযোগ বিশ্বনাথ থানায় দাখিল করেছেন। কিন্তু থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও জামাত শিবিরের গুনগান গেয়ে বেজায় খুশি হয়ে ফিরে আসেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাওয়া এক ধরনের অলিখিত নিষিদ্ধ ছিলেন অধ্যক্ষ। তার কোন আবেদন রিসিভ করে রাখা হতনা। রাখলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হতনা। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কথা বলাই বাহুল্য। তার কাছে অধ্যক্ষের প্রতিপক্ষের ছিলেন খুবই প্রিয়ভাজন। এ অবস্থায় একজন মাওলানা ছিলেন খুবই অসহায়। শেষ পর্যন্ত অধ্যক্ষের পিট দেয়ালে ঠেকায় এলাবাসির সহায়তায় উগ্রবাদদের প্রতিহত করে মাদরাসায় দায়িত্ব নিলেন।

বিভিন্ন সুত্রে জানাযায়, গত জুলাই মাসের বেতন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বন্ধ রেখেছেন। এটা ছিল অধ্যক্ষের মরার উপর খাড়ার ঘা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান জানান, অধ্যক্ষে বেতনের জন্য না আসায় বেতন দেয়া হয়নি। সুত্র মতে অধ্যক্ষের বেতন বিল না করে বাকি সকল শিক্ষকের বিল জনতা ব্যাংক থেকে জমা দেয়া হয়। অধ্যক্ষ জানান, জুলাই ও আগস্ট মাসের বিল দাখিল করা হলে ইউএনও এখনও স্বাক্ষর করেননি।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *