নিজস্ব প্রতিবেদক : অবশেষে কোন বাধাই আটকাতে পারেনি তেলিকোনা এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইনকে।
এলাকাবাসি ও প্রবীন সাংবাদিকদের সহযোগীতায় দায়িত্ব পানল করতে সক্ষম হয়েছেন। জামাত শিবিরের উগ্রপন্থিরা বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় করেও অধ্যক্ষকে মাদরাসা থেকে বিতাড়িত করতে পারেনি।
আজ রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) মাদরাসায় প্রবেশ করে কোন রকম বিশৃঙ্খলা ছাড়া দায়িত্ব পালন করেন। কয়েকদিন পূর্বে অধ্যক্ষ মাদরাসার অধিদপ্তরের নিদের্শনা নিয়ে মাদরাসায় গেলে, পুলিশের উপস্থিতিতে একদল উগ্রপন্থি লোক তাকে মাদরাসায় ঢুকতে না দিয়ে, অশ্লীল ভাষার গালমন্দ করে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। এর আগেও তাকে অপমান ও লাঞ্চিত করে মাদরাসা তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।
এ ঘটনার পর অধ্যক্ষ বিশ্বনাথ থানায় কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। মাদরাসার গভনিং বডি’র আহবায়ক তাকে জোরপূর্বক ও বেআইনীভাবে চার মাসের অব্যাহতি দিয়ে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।
মাদরাসার বিধি মোতাবেক এডহক কমিটি অধ্যক্ষকে বহিস্কার করার কোন বিধান নেই। এই নোটিশের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ মহামান্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করলে, হাইকোট ছয় মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে মাদরাসার মখলিছুর রহমান নামের এক শিক্ষক মহামান্য সুপ্রিমকোটে আদেশ স্থগিতের আবেদন করলে, মহামান্য সুপ্রিমকোট কোন আদেশ দেননি। অধ্যক্ষের দায়েরী রীট মামলাটি এখনও বিচারাধীন রয়েছে।
এ অবস্থায় মাদরাসা এলাকায় জামাত শিবির চক্র একটি অরাজকতার সৃষ্টি করে। কয়েকদিন পূর্বে অনলাইন পোর্টাল বিশ্বনাথের ডাক ২৪ ডটকমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং গত দুই দিন পূর্বে বিশ্বনাথের ডাক ২৪ ডটকম অনলাইনে ঘটনার একটি ভিডিও প্রচারিত হলে ব্যাপক আকারে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। হাইকোট, সুপ্রিমকোট মাদরাসা অধিদপ্তরের নিদের্শ অমান্য করে উগ্রপন্থিরা নিরিহ অধ্যক্ষকে অপমান করায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং এক পর্যায়ে আজ সকালে অধ্যক্ষকে এলাকাবাসী সাথে নিয়ে মাদরাসায় প্রবেশ করেন। তখন উগ্রপস্থিরা অবস্থা বেগতি দেখে পিছু হঠে যায়।
শেষ পর্যন্ত এলাকার তরুণ সমাজ ও মুরব্বীদের মধ্যস্থতায় আদালত ও মাদরাসা অধিদপ্তরের নিদের্শনা মেনে প্রতিপক্ষরা অধ্যক্ষকে মাদরাসায় দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে সমযোতায় একমত হয়। মাদরাসা নিয়ে বিস্তারিত থাকবে পরের প্রতিবেদনে————-