নিজস্ব প্রতিবেদক : পূর্ব বিরুধের জেরে সিলেটের বিশ্বনাথে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মধ্যস্থতাকারিসহ কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় ১৪জনকে আসামি করে গণধর্ষণ ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে, (মামলা নং–১৭, তারিখ ২২/০৮/২৩ইং)। ঘটনাটি গত রবিবার ২০আগষ্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নে তালুকজগত গ্রামে ঘটে। হামলার ঘটনায় গণধর্ষণ মামলা হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
খবর পেয়ে বিশ্বনাথের কর্মরত একদল সাংবাদিক শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) দুপুরে সরেজমিন গিয়ে জানাগেছে, উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের মামলার বাদী ও আব্দুল জলিলের পুত্র সামছুল হকের মধ্যে সীম গাছের চারার উপর ময়লা ফেলা নিয়ে বিরোধ চলছে। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ময়লা ফেলা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে মধ্যস্থতাকারিসহ অন্তত ১৫জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে আড়াল করে মামলার বাদী তার স্ত্রীকে গণধর্ষণ হয়েছে মর্মে মধ্যস্থতাকারিসহ ১৪জনকে আসামি করে মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে (মামলা নং–১৭)। শুক্রবার বাদ জুমআ এলাকাবাসি সাজানো মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সীম গাছের চারার উপর ময়লা ফেলা নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গণধর্ষনের ঘটনা সাজানো ও মিথ্যা। পঞ্চয়েতের পক্ষে বক্তব্য দেন, মুরব্বী হাজী উস্তার আলী, ছমির আলী, ইসকার আলী ও যুবক মোহাম্মদ আলী।
তবে, গুরুত্বর আহত সামসুল হকের সঙ্গে পূর্ব বিরোধের কথা স্বীকার করে মামলার বাদি বলেন, তার ৩৮বছর বয়সী স্ত্রীর একজন ডায়াবেটিস রোগী। তার সঙ্গে গণধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে এবং হামলার স্বীকারও হয়েছেন। তাই তিনি মামলা দিয়েছেন।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহনুর হোসাইন জানান, দুই পক্ষের মারামারি শুনে আমি সেখানে গিয়ে দেখি দুই পক্ষের লোকজন আহত হয়েছেন। পরে গ্রামের মুরব্বিদেরকে নিয়ে শালিসের মাধ্যমে বিষয়টি শেষ করার প্রস্তাব দেই। শামসুল পক্ষ শালিস মানলেও মামলার বাদী পক্ষ শালিস মানেনি। পরে শুনি থানায় গণধর্ষণ মামলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গণধর্ষণের কোন ঘটনা এখানে ঘটেনি।
এ বিষয়ে লামাকাজি ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া জানান, এলাকার লোকজন ও বাদীর আপন চাচাতো ভাই বলেছেন এখানে শুধু মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেনি। প্রশাসনকে আমি অনুরোধ জানাবো সুষ্টু তদন্ত স্বাপেক্ষে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, গণধর্ষণ ও মারামারির ঘটনায় একটি মামলা নেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। পুলিশ কাউকে হয়রানি করছেনা। মিথ্যা ঘটনা প্রমানিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।