জগন্নাথপুরে ভেঙে যাওয়া বেইলি সেতুর মেরামত কাজ শুরু : খরচ হবে ৫০ লাখ

সারাদেশ
শেয়ার করুন

ডাক ডেক্স : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নলজোড়া নদীর ওপরে ভেঙে যাওয়া বেইলি সেতুর মেরামত কাজ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে  

মেরামত করতে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা খরচ হবে এবং দুই-তিনদিনের মধ্যে সেতু দিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে সড়ক জনপথ (সওজ) বিভাগ

এরআগে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর-রানিগঞ্জ সড়কের নলজুর নদীর কাটাগাঙ্গে বেইলি ব্রিজে ট্রাক ওঠতেই পাটাতন খুলে দেবে পড়ে।

এ সময় ট্রাকটি নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন চালক ও হেলপার। পরে সন্ধ্যার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ডুবন্ত ট্রাক থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেন।

পুলিশ, এলাকাবাসী ও সওজ সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর বাজারের মেসার্স ফাতেমা ট্রের্ডাসের মালিক শাকিল চিশতির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য আসা ট্রাকটি কাটাগাঙ্গে বেইলি ব্রিজে ওঠতেই পাটাতন খুলে ধসে পড়ে।

এ ঘটনায় মারা যায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের বাসিন্দা ট্রাকচালক ফারুক মিয়া (৫০) ও হেলপার সিলেটের এয়ারপোর্ট ধোপাগুল এলাকার বাসিন্দা জাকির মিয়া (৩৫)।

ব্রিজে ভেঙ্গে জগন্নাথপুরের এ সড়কের সঙ্গে ঢাকার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তি পড়েছেন।

সেতু মেরামত করতে আসা শ্রমিক হোসেন মিয়া বলেন, তিন থেকে চারদিনের মধ্যে সেতু মেরামতের কাজ শেষ হয়ে যাবে।

সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, সেতুটির ভাঙা অংশ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।এটি মেরামতে ৫০ লাখ টাকার মতো খরচ হবে।

এদিকে, বুধবার (২৩ আগস্ট) সুনামগঞ্জ সওজের উপ সহকারী প্রকৌশলী আশিকুর রহমান বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সওজের মামলায় তিন কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি দেখানো হয়েছে।এ মামলায় ট্রাক মালিক ও নিহত চালককেও আসামি করা হয়েছে।

তবে জেনে শুনে মৃত ব্যক্তিকে আসামি করার বিষয়ে ওসি বলেন, নিহত চালককে মামলার আসামি করা হলেও তদন্তের পর তার নাম বাদ যাবে।প্রাথমিকভাবে আসামি করা যেতে পারে।

মৃত ব্যক্তিকে আসামি করার বিষয়ে সুনামগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, মামলা দায়ের করা হয়েছে।তবে আসামি কয়জন সেটি তিনি বলতে পারেন না।

তিনি বলেন, অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে ট্রাকটি ওঠার পর বেইলি ব্রিজটির পাটাতন খুলে ধসে পড়ে যায়। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং অতিরিক্ত মালামাল পরিবহনের নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড লাগানো ছিল।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *