নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিশ্বনাথ উপজেলা চাউলধনি হাওর রক্ষা ও কৃষক বাচাও আন্দোলন কমিঠির আহবায়ক, বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য আবুল কালামের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ ৭ ফেব্রæয়ারী (মঙ্গলবার) বিশ্বনাথ আমল গ্রহনকারী আদলতের ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত সারমিন শুনানী শেষে জামিন মঞ্জুর করেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আবুল কালামের আইনজীবী এ এস এম গফুর। দশঘর মৎসজীবী সমবায় সমিতি সদস্য জুনাব আলী বাদী হয়ে গত ০৯/১০/২০২২ইং তারিখে আবুল কালাম সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে বিশ^নাথ থানায় ১টি সাজানো মামলা নং ০৬ দায়ের করেন। এ মামলায় আবুল কালাম গত ৩১জানুয়ারী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে শুনানী শেষে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। ৭দিন পর তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।দৌলতপুর ও দশঘর ইউনিয়নের মধ্যবর্তীর চাউলধনী হাওর দশঘর মৎসজীবী সমবায় সমিতি লীজ এনে সরকারের সকল নিয়মনীতি অমান্য করে একটি বাহীনীর নিকট সাবলীজ দেওয়া হয়। এই বাহীনী গত ১যুগেরও বেশি সময় ধরে কৃষকের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি, পুকুল, খাল-বিল, নালা জোরপূর্বক দখল করে সেচ দিয়ে মাছ ধরে নেয়। হাওর পারের ২৫টি গ্রামের অতিষ্ট কৃষকদের একত্র করে আবুল কালাম আন্দোলন শুরু করেন। তাকে দমানোর জন্য একাধিক সাজানো ও মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। ইতিপূর্বে তিনি অপর একটি মামলায় দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন। কয়েকটি মামলাও অব্যাহতি পান। কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় আন্দোলন করতে গিয়ে তাকে একাধিকবার জেল খাটতে হচ্ছে। ৩১জানুয়ারী আবুল কালাম জেলে ঢোকার পর আন্দোলন কমিটি বা এলাকার কেউ তার পক্ষে অবস্থান নেয়নি। কোন মিছিল মিটিং বা প্রতিবাদ করা হয়নি। তার পরিবার আইজীবী নিয়োগ করে জামিনের চেষ্টা তদবির করেন। আবুল কালাম চাউলধনি হাওরের সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত জমির সাথে কৃষকদের ব্যক্তি মালিকানাধিন ভূমির সীমানা নির্ধরনের জন্য মহামান্য হাইকোর্টি একটি রীট পিটিশনও করেছিলেন। এতে প্রতিপক্ষসহ প্রশাসনের কেউ কেউ তার উপর ক্ষীপ্ত ছিলেন।