আমতৈল মাদরাসার কোটি টাকার দূর্নীতিঃ তদন্ত করবে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর

Uncategorized
শেয়ার করুন

স্টাফ রির্পোটারঃ বিশ্বনাথ উপজেলার ৪নং রামপাশা ইউনিয়নের আমতৈল পঞ্চগ্রাম মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদরাসার অনিয়ম, ঘুষ, দূর্নীতি, প্রতারণা ও জ্বাল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়টি তদন্ত করবে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা বেইলি রোডস্থ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. আবুল কালাম আজাদ টেলিফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মাদরাসার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। মহা-পরিচালকের নির্দেশ পেলেই সরজমিনে তদন্ত করা হবে। উক্ত কর্মকর্তা অভিযোগকারী সাবেক রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাদরাসার প্রতিষ্টাতা আজিজুর রহমানকেও তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমীর কান্তি দে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আমতৈল মাদরাসার টাকা আত্মসাত ও ঘুষ, দূর্নীতি ও জালিয়াতির ঘটনা তদন্তের জন্য নোটিশ প্রদান করলে, অভিযোগকারী আজিজুর রহমান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আপত্তি জানালে সে দিন আর তদন্ত হয়নি। মাদরাসার সকল অনিয়ম, ঘুষ, দূর্নীতির সাথে সমীর কান্তি দে জড়িত রয়েছেন। এতে সমীর কান্তি দে তদন্ত অনুষ্টান ভন্ডুল হয়ে যায়। তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে মাদরাসা ও স্কুলগুলোতে পরিচালনা কমিটি গঠন শিক্ষক নিয়োগ এমপি ভুক্তসহ বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষদের ফাদে ফেলে টাকা আদায় করে থাকেন। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কয়জন শিক্ষক জানিয়েছেন অধিকাংশ প্রতিষ্টানের নিকট থেকে টাকা আদায় করা হয়ে থাকে। এটা এখন ওপেন সিক্রেট।
আমতৈল মাদরাসা সুপার রায়হান উদ্দিন শিক্ষকদের চাকুরী দেওয়ার কথা বলে এবং এমপিভুক্ত শিক্ষকদের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাত উপজেলা নির্বা হী কর্মকর্তা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও শিক্ষক নিয়োগ কমিটির সদস্যদের সাক্ষর জ্বাল জালিয়াতির ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ ঘটনা থেকে আত্বরক্ষার জন্য দূর্নীতিবাজ রায়হান উদ্দিন ২৭ সেপ্টেম্বর মাদরাসায় এক সাধারন সভা আহবান করেছিলেন। সেই সভায় এলাকার লোকজন উপস্থিত হননি। যে ৮/১০জন উপস্থিত হয়েছিলেন তারা রায়হান উদ্দিনকে অতিসত্বর মাদরাসা থেকে অব্যাহতি দিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
মাদরাসা অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতি ও জালিয়াতির ঘটনা সম্পর্কে মোবাইল ফোনে (০১৭৪০৯৭৫৭৮৩) দীর্ঘ সময় কথা হয় সুপার মাওলানা রায়হান উদ্দিনের সাথে।
এই প্রতিবেদক প্রশ্ন করেছিলেন, একজন মাওলানা হয়ে আপনি এতো দুর্নীতির সাথে জড়িত কেন?
উত্তরে বলেছেন, আমি একা নয়।
প্রশ্ন: তাহলে সব অভিযোগ কি সত্য?
উত্তরে: অধিকাংশ সত্য।
প্রশ্ন: এমপিও ভুক্তির বকেয়া বিলের টাকা উত্তোলন করে কে নিয়েছে?
উত্তরে: একজন সভাপতির নাম ধরে বলেছেন।
প্রশ্ন: একই পদে একাধিক শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ৩/৪ লাখ টাকা করে অর্ধ কোটি টাকার মতো আত্মসাত করেছেন কি ?
উত্তরে: এত টাকা হবে না, আরো কম হবে।
তিনি বলেন, অন্যান্য জায়গায় ভাগ-বাটোয়ারা দিয়ে ঠিকে আছেন। সর্বাবস্থায় তিনি মাদরাসার ভয়াবহ অনিয়ম, ঘুষ, দূর্নীতি ও জালিয়াতির ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন। এরপর তাকে আর প্রশ্ন করার সাহস হারিয়ে যায়।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *