স্টাফ রির্পোটারঃ সিলেটের শতাব্দির ভয়াবহ বন্যায় মানবিক বিপর্যয় শুরু হয়েছে। ১৬ জুন থেকে ২৩জুন এ ৮ দিনে বন্যায় মানুষের পঞ্চাশ বছরের গড়া সংসার ধ্বংসলীলায় পরিণত হয়েছে। পানি একটু কমে গেলেও অভাবী মানুষ খাদ্যের জন্য হাহাকার করছেন । ত্রাণ নিয়ে আসা লোকজন দেখলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। সরকারি ত্রাণ সামগ্রী একেবারে অপ্রতুল। ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিছু কিছু ত্রাণ বিতরণ করলেও অসহায় দুর্বল, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা নারী, এতিম শিশু, অসুস্থ, বয়োবৃদ্ধ জনগোষ্টি ত্রাণ পাচ্ছে না। যারা রাস্তার পাশে এসে থাকতে পারেন, তারা কিছু কিছু ত্রাণ পাচ্ছেন। সিলেটের বাহিরে থেকে ছাত্র-শিক্ষক, সমাজসেবী, সংগঠন, সংস্থা ত্রাণ বিতরণ করতে দেখা গেলেও সিলেটের ব্যবসায়ী ধর্নাঢ্য ব্যক্তি ও প্রবাসীদের ত্রাণ তৎপরতা তেমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বন্যা কবলিত এলাকায় দিয়াশলাই, কেরোসিন, মোমবাতি, শিশু খাদ্য ও শুকনো খাদ্যের চরম সংকট রয়েছে। ব্যারিস্টার সুমন ইতিমধ্যে সিলেট, সুনামগঞ্জ, ছাতকের বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের কাছে কোটি টাকার ত্রাণ বিতরণ করছেন বলে জানা গেছে।
সিলেট শহর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়ানঘাট, কানাইঘাট, বিশ্বনাথ, সিলেট সদর, জকিগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা, জৈন্তাপুর, ছাতক এবং সুনামগঞ্জের সব উপজেলায় ৯০ ভাগ বাসা, ঘর-বাড়ী হাটু পানি থেকে কোমর পানি এখনও রয়েছে। গরু, মহিষ, হাঁস, মোরগ, মাছ চাষিদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাদের কান্না থামছে না। কাচা-পাকা রাস্তা, স্কুল, কলেজ, মসজিদ পানির তোড়ে চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাকা রাস্তাগুলো দু,তিন ফুট করে গর্ত হওয়ায় যান চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। কাঁচা ঘর-বাড়ী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিচের মাঠি ধসে যাওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঝুকির মধ্যে রয়েছে।
এমতাবস্থায় সিলেটের দেশ বিদেশে থাকা বিত্তবানরা অসহায় মানুষদের বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ত্রাণ প্রচেষ্টা চালানোর জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সুষ্টভাবে ত্রাণ বিতরণ হচ্ছে।