নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনাথ উপজেলার বহুল আলোচিত সমবায় কর্মকর্তা কৃষ্ণা রাণী তালুকদারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর দায়েরী অভিযোগের তদন্ত করা হয়েছে। ৭ মার্চ সোমবার সকালে বিশ্বনাথ সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয়ে তদন্ত সম্পন্ন করেন সুনামগঞ্জ জেলা সমবায় ও তদন্ত কর্মকর্তা বশির আহমদ। এসময় অভিযুক্ত কৃষ্ণা রাণী তালুকদার ও অভিযোগকারীরা এবং এলাকার অর্ধশতাধিক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা বশির আহমদ এই প্রতিনিধিকে জানান, সমবায় অধিদপ্তর, ঢাকায় দাখিলকৃত অভিযাগ সিলেট জেলা সমবায় নিবন্ধন কর্মকর্তার নিদের্শে সরেজমিন গিয়ে অভিযোগ তদন্ত হয়। কৃষ্ণা রাণী তালুকদারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের লিখিত ও মৌখিক স্বাক্ষীপ্রমানাধী গ্রহণ করা হয়েছে এবং নিবন্ধন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আমি রির্পোট দাখিল করবো। তিনি অধিদপ্তরে রির্পোট প্রেরণ করা হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেন জানান।
অভিযোগকারীরা সমবায় কর্মকর্তা কৃষ্ণা রাণী তালুকদারের বিরুদ্ধে ১৭টি লিখিত সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেন। বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন, দশঘর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি নামে একটি সংগঠনকে কৃষ্ণা রাণী তালুকদার সম্পূণ বেআইনি ও সমবায় আইনের পরিপন্থি হওয়া সত্ত্বেও কার্যকর সমিতির প্রত্যয়ন দিয়ে চাউলধনী হাওর লীজ গ্রহণের সুযোগ করে দেন। এ সমিতি হাওরটি লীজ নিয়ে একটি সন্ত্রাসী বাহিনীকে সাবলীজ দেয়ায় দুটি হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে। সুতরাং কৃষ্ণা রাণী তালুকদার এই দুটি হত্যাকান্ডের দায়ে কোনমতেই এড়াতে পারেন না, তার উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত। অন্যান্য অভিযোগকারীরা হচ্ছেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবুল কালাম, মোহাম্মদ মহব্বত শেখ, দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আরিফ উল্লাহ সিতাব, মাওলানা ছমির উদ্দিন, ইউপি সদস্য সামছুদ্দিন, নজির উদ্দিন, আনছার আলী, হোসেন আহমদ, জাহেদুল হক, আহমদ আলী, রুসন আলী, আব্দুস সোবহান, ইব্রাহিম আলী সিজিল, মানিক মিয়া, আবজল হোসেন, আলী হোসেন, জয়নাল আবেদিন, আব্দুল মতিন, ছানাউর রহমান, আবুল কালাম, সাংবাদিক এসপি সেবু প্রমুখ।