নিজস্ব প্রতিবেদক: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেছেন, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছোট ভাই নুনু মিয়াকে উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু টাকা বরাদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু এ টাকার প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে সাথে সাথে আমি সিলেটের ডিসিকে তদন্তের নিদের্শ দেই এবং যদি তদন্তে দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু দুর্নীতির অজুহাতে যারা ঝাড়ু মিছিল করেছে, তাদের দলে থাকার কোন দরকার নেই। মন্ত্রী বলেন, এই এলাকার সাংসদ দলীয় লোক না হওয়ায় উন্নয়নে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আমি ঢাকায় গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দলীয় লোককে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়ার অনুরোধ জানাব।
মন্ত্রী এ কথা শুনে উপস্থিত জনতা মুহু মুহু করতালী দিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানান।
৬ মার্চ রবিবার বিকেলে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ মাঠে তাঁকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন। এর আগে মন্ত্রী নবনির্মিত উপজেলা পরিষদের হল উদ্বোধন সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের উদ্বোধন করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেন, আজ থেকে ৫০ বছর পূর্বে বিশ্বে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের কোন পরিচিতি ছিল না। মহাবীর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশের খেটে খাওয়া মানুষ, কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করায় বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উচুঁ করে দাড়াঁনোর সুযোগ পেয়েছ। তিনি বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এক সময় এদেশে কলেরা, বসন্তসহ বিভিন্ন রোগে মানুষ মারা যেতেন, কিন্তু এ অবস্থা এখন আর নেই। শেখ হাসিনার সঠিক নিদের্শনা ও তদারকিতে মহামারী করোনা থেকে দেশ প্রায় রক্ষা পেয়েছে। তিনি জামায়াতের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, দেশে একটি দল আছে, যারা ৭১সালে এদেশের বিরোধীতা করেছিল। এখন তারা এদেশে বসবাস করেও রাষ্ট্রের আনুগত্য স্বীকার করছে না। এদের থেকে সর্তক থাকার জন্য জনগনের প্রতি আহবান জানান। মন্ত্রী বলেন বিএনপি মুখে মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, অথচ তারা স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছে। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না। আবার অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবী করে নিজেরাই হাঁসির পাত্র হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, কথা একেবারেই পরিস্কার রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যে বাংলাদেশ কারও পক্ষে নেই। তিনি বিশ্বনাথের বিভিন্ন উন্নয়নে তার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন।
বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির প্রাক্তন সাধারন সম্পাদক, বির্তকিত ও কথিত আওয়ামীলীগের সভাপতি পংকি খানের সভাপতিত্বে ও বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফারুক আহমেদের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শাহ ফরিদ আহমদ, নাজমীন আক্তার, শাহ আশাদুজ্জামান, আমীর আলী চেয়ারম্যান, আলমগীর হোসেন চেয়ারম্যান, আব্দুল জলিল জালাল, আলতাব হোসেন, শংকর চন্দ্র ধর, সোরাব আলী, হাবিবুর রহমান, শাহ নেওয়াজ সেলিম প্রমুখ। মানপত্র পাঠ করেন মকদ্দুছ আলী।