নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনাথ উপজেলার প্রখ্যাত চাউলধনী হাওরের বহুল প্রত্যাশিত সীমানা নির্ধারণী কার্যক্রম আগামীকাল রবিবার (৬ ফেব্রæয়ারী) শুরু হবে। মহামান্য হাইকোর্টের নিদের্শে সীমানা চিহ্নিত কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ২০২১সালের ১৩ জুন বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য আবুল কালাম ও দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আরিফ উল্লাহ সিতাব বাদী হয়ে মহামান্য হাইকোর্টে সরকারি ভূমির সাথে কৃষকদের ভূমির সীমানা নির্ধারনের জন্য একটি রীট (নং-৫৩৩১/২০২১) দাখিল করলে মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত্য বেঞ্চ সিলেটের জেলা প্রশাসককে সীমানা নির্ধারনের নিদের্শ দেন। এই নিদের্শের প্রেক্ষিতে বিশ্বনাথ সহকারি কমিশনার (ভূমি) সীমানা নির্ধারন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে জানা গেছে।
রীট পিটিশনকারী আবুল কালাম জানান, চাউলধনী হাওরের প্রায় ১০হাজার একর জলাভূমি রয়েছে। এরমধ্যে ১৭৮.৯৮একর ভূমি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত। গত ১৮বছর যাবত যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল ও তার বাহিনী মৎস্যজীবিদের নিকট থেকে জোরপূর্বক সাবলীজ নিয়ে কৃষকের ইরি বোরো জমি, খাল-নালা-পুকুর, জোরপূর্বক দখল করে লাখ লাখ টাকার মাছ বিক্রি ও হাওর থেকে পানি শুন্য করে কৃষকের কোটি কোটি টাকার ধান উৎপাদনে বাধার সৃষ্টি করেছেন। প্রায় ৩০হাজার কৃষক এ বাহিনীর হাতে বন্দি জীবনযাপন করছেন। ইতিমধ্যে সাইফুল বাহিনী চাউলধনী হাওরে দুটি হত্যা কান্ডও ঘটিয়েছে।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্রশাসনে এখনও সাইফুলের দাপট রয়েছে। কতিপয় কর্মকর্তা হাওরের যতসামান্য ভূমি জরিপ করে মহামান্য হাইকোর্টে রির্পোট দিতে পারে। কিন্তু কৃষকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ কয়েক যুগ পর মহামান্য হাইকোর্ট যে নিদের্শনা দিয়েছেন, সেই নিদের্শনা বাস্তবায়নে সরকারি খাস ভূমির সাথে সকল ভূমির চর্তুরদিকে সীমানা নির্ধারন করে কৃষকদের হয়রানী মুক্ত করতে হবে।
বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান বলেছেন, রবিবার উপজেলা প্রশাসন হাওর সীমানা নির্ধারন করার জন্য ইতিমধ্যে নোটিশ প্রদান করেছেন। আমরা যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে প্রস্তুত রয়েছি। ৩০হাজার কৃষকের স্বার্থে যত সময় ব্যয় হয় না কেন, আমরা প্রশাসনকে সময় দিতে প্রস্তুত রয়েছি। আজীবনের জন্য একটি বিরোধ নিষ্পত্তি হোক, এটা কৃষক সমাজ চায়।
বিশ্বনাথ সহকারি কমিশনার ভূমি আছমা জাহান সরকার জানিয়েছেন, চাউলধনী হাওর সীমানা নির্ধারনের জন্য নোটিশ দেয়া হয়ে থাকলে, জরিপ কাজ পরিচালনা হবে।
বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান জানিয়েছেন, সীমানা নির্ধারনী কার্যক্রমে সহায়তার জন্য তিনি কোন পত্র পাননি। সহযোগিতা চাইলে থানা পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।