নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন তৃনমুলের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের পেনশন জটিলতা নিরসন, দ্রুত নিয়োগবিধি প্রনোয়ন, গ্রেড পরিবর্তন, প্রমোশন, বেতন বৈষম্য দূরীকরণ এবং পরিবার কল্যাণ সহকারীদের ১৭তম গ্রেডের পরিপত্র বাতিলের দাবী জানানো হয়। অন্যতায় আন্দোলনের মাধ্যমে দাবী আদায় করা হবে বলে হুসিয়ারী উচ্চারন করেন। ৭ জানুয়ারী শুক্রবার হবিগঞ্জ জেলা ও সিলেট জেলা সরকারী কর্মচারীদের ঐক্য পরিষদের মতবিনিময় সভায় বক্তারা, দাবী আদায়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সভায় বক্তারা বলেন, সরকার উন্নয়নখাত থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত কর্মচারীদের ২০০৫সালে প্রকাশিত পরিপত্রের মাধ্যমে কর্মচারীদের উন্নয়নখাত থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত করেন। পরিপত্রে যোগদানের তারিখ হতে চাকুরীর গণনাকালের কথা উল্লেখ থাকলেও অর্থ মন্ত্রনালয়ের গত ৫ নভেম্বর ও ইতিপূর্বে বিভিন্ন তারিখে দুটি পরিপত্র জারী করে শতভাগ পেনশনের পরিপত্রে ৮০ভাগ পেনশনের নিদের্শনায় সারাদেশের কর্মচারীরা চরমভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জারীকৃত পরিপত্রে টাইমস্কেল, ইনক্রিমেন্টসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি ফেরত প্রদানের নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের নিদের্শনা অমান্য করে ২০ভাগ পেনশন কর্তন করে রাখা হচেছ। ইতিপূর্বে যারা পেনশনে গিয়েছেন এবং যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদেরকে টাকা ফেরত প্রদানের জন্য ধারাবাহিকভাবে মাধ্যমে পত্র দেয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় জেলা, উপজেলায় উন্নয়ন খাত থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত কর্মচারীরা একযোগে আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণার হুসিয়ারী উচ্চারণ করেন।
৭ জানুয়ারী শুক্রবার সকালে হবিগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা হলরুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় হবিগঞ্জের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ইকবাল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক কদর আলীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সিলেটের সিনিয়র কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রৌশন আলী, শফিক আহমদ, হবিগঞ্জের আব্দুল ওয়াদুদ, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মোঃ ফিরোজ আলী (সিলেট), কামাল আহমদ (হবিগঞ্জ), পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা রিতা চক্রবর্তী(সিলেট), অনিমা রায়, রোকেয়া খাতুন, মনসুরা আশরাফি, উর্মি, মমতাজ বেগম (হবিগঞ্জ), পরিবার কল্যাণ সহকারীদের সুলতানা আক্তার, নুরজাহান বেগম, সাফিয়া খানম, ভাসান্তী আচার্য্য, করিমন নেছা, জাহানারা বেগম, শাহিনা আক্তার, আয়েশা খানম, সিপ্ররা রাণী পাল, আম্বিয়া খাতুন, পারভিন আক্তার, লাভলী আক্তার প্রমুখ। সভায় কয়েকজন পরিবার কল্যাণ সহকারি আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বলেন, আমরা দেশের প্রধান ও অন্যতম সমস্যা জনসংখা নিয়ন্ত্রন ও ইপিআই, করোনা ভ্যাকসিন, কমিউনিটি সেবাসহ সরকারী কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের পরও আমাদের পেনশন কর্তন করা হচ্ছে। নিয়োগবিধি, প্রমোশন, গ্রেড পরিবর্তন, বেতন বৈষম্য দূরীকরণও হচ্ছে না। এসব সমস্যা সমাধানে দেশের সকল কর্মচারীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মরণপণ আন্দোলন করে দাবী আদায় করতে হবে।