নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) আব্দুল মজিদকে একটি মারামারির মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আব্দুল মজিদ বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছেন। ওসি গাজী আতাউর রহমান তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলে মামলা থেকে অব্যাহতির আশ্বাস দেন। জানা যায়, গত ৯ নভেম্বর উজাইজুরি গ্রামে মসজিদ কমিটিকে কেন্দ্র করে সকাল অনুমান ৯ ঘটিকায় দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি সংঘটিত হয়। ঐদিন উজাইজুরি গ্রামের মৃত সোনা উল্লাহর পুত্র মোক্তার আলী বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় ১৫জন আসামী করে একটি মামলা (মামলা নং-১১, তারিখ-০৯/১১/২০২১) দায়ের করেন। এই মামলায় উজাইজুরি গ্রামের মৃত ওয়াহিদ আলীর পুত্র ও স্থানীয় মেম্বার আব্দুল মজিদকে ১১নং আসামী করা হয়। এজহারে বলা হয়, বিবাদী আব্দুল মজিদ হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে জখমী ফয়জুলের বাম হাতের কব্জির উপরে ছেদ মারিয়া রক্তাত কাটা জখম করে। কিন্তু আব্দুল মজিদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলার ঘটনার তারিখ ও সময়ে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না এবং এই ঘটনার সাথে তিনি কোন মতেই জড়িত নয়। ঐদিন সকাল ৮ ঘটিকার সময় বাড়ী থেকে রওয়ানা দিয়ে সিলেট আদালতে ৯ ঘটিকার সময় পৌছেন এবং বিশ্বনাথ জিআর ৫০/২০২১মামলায় হাজিরা দিয়ে ২ ঘটিকায় বাড়ীতে পৌছেন। ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগে তিনি আদালতে হাজিরার সার্টিফাই কপিও সংযুক্ত করেন। এতে দেখা যায়, সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রাট ৩নং আমলী আদালতে জিআর ৫০/২০২১নং মামলায় হাজির ছিলেন। বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী আতাউর রহমান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোয়াজ্জেমকে তদন্ত করার নিদের্শ দেন। উল্লেখ্য যে, ৬২ বছর বয়স্ক আব্দুল মজিদ মেম্বার উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগে ভোগছেন এবং মামলার আসামী হওয়ায় তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন তার কোন অঘটন ঘটলে কিংবা মৃত্যু হলে তার বিরুদ্ধে দায়েরী মামলার বাদী ও স্বাক্ষীরা সম্পূর্ণরূপে দায়ী থাকবেন।