নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনাথ উপজেলার চৈতননগর গ্রামের ছরকুম আলী দয়াল হত্যা মামলা তদন্ত করেছেন সিলেট পিবিআই একটি টিম। সিলেট পিবিআই’র পুলিশ সুপার খালেদ-উদ-জ্জামান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তরিকুল ইসলাম ও এসআই জাহাঙ্গির আলম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
১৮ ডিসেম্বর শনিবার দুপুর ১২টায় চাউলধনী হাওরের যে জমিতে দয়ালকে হত্যা করা হয়েছিল সেই ঘটনাস্থলে প্রায় আড়াই ঘন্টা উপস্থিত ছিলেন তদন্তকারী দল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীদের নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। স্বাক্ষীরা দয়ালকে কেন কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তা বর্ণনা করেন। তারপর তদন্তকারী দল চৈতননগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৈঠকে এ ঘটনা সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মামলার বাদী আহমদ আলী ও স্বাক্ষীগন মামলার প্রধান আসামী সাইফুল সহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের নাম উল্লেখ করে স্বাক্ষী প্রদান করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী আহমদ আলী ও ঘটনাস্থালে উপস্থিত লোকজন।
উল্লেখ্য, ২৮ জানুয়ারী চাউলধনী হাওরের নিজস্ব জমিতে ছরকুম আলী দয়াল কৃষি খেতের সময় আসামী সাইফুরের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের এক দল সন্ত্রাসী দয়ালসহ আরও ৪/৫ জনকে ঘেরাও করে মারপিট শুরু করলে কৃষক দয়াল ঘটনাস্থালে মারা যান এবং তার ভাই-ভাতিজা সহ ৪/৫ জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় দয়ালের ভাতিজা আহমদ আলী বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ গত ১১ এপ্রিল ঘটনার সাথে জড়িত মূল আসমীদের বাদ দিয়ে মাত্র ৫ জনের বিরুদ্ধে আদলতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলার আসামী যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুলের সাথে বিশ্বনাথ থানার সাবেক ওসি শামীম মুসা ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফজলু ঘনিষ্ট সম্পর্ক থাকায় চার্জশীট থেকে আসামীদের বাদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। চার্জশীটের বিরুদ্ধে বাদী আদালতে নারাজি দাখিল করলে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ৩নং আমলী গ্রহনকারী হারুনুর রশিদের আদালত শুনানী শেষে মামলাটি পুর্ণ তদন্তের জন্য সিলেটের পিবিআইকে নিদের্শ প্রদান করেন। তদন্তকালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম আবুল কালাম, দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আরিফ উল্লাহ সিতাব, নজির উদ্দিন, সিজিলসহ স্থানীয় লোকজন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তরিকুল ইসলাম জানান, মামলার দায়িত্বভার গ্রহনের পর প্রথম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করি এবং পরবর্তিতে আরও সাক্ষ্য প্রমানাদি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে রিপোর্ট দাখিল করব।