নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনাথ ও জগন্নাথপুর উপজেলার স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও একজন মাদরাসার প্রাক্তণ অধ্যক্ষকে আসামী করে একটি সাজানো ও মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়েরের কারনে এলাকায় বিরোপ প্রতিক্রিয়া ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হওয়ার আশংকা রয়েছে। চাঁদাবাজির এই সাজানো মামলাটি দায়ের করেছেন দশঘর ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত আখলু মিয়ার পুত্র তোতা মিয়া।
মামলার আসামীরা হচ্ছেন, জগন্নাথপুরের লহরী গ্রামের আবু বক্কর, লিটন মিয়া, সুহেল মিয়া, একানাইরাইন গ্রামের নূর মিয়া, আঙ্গুর মিয়া, জিতু মিয়া, সেলু মিয়া, সেবুল মিয়া ও দুলাল হোসেন দুলাল, ভাটিপাড়া গ্রামের আব্দুল গণি আনছারী। বাদী গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (সিআর-৩৪/২০২১) মামলাটি দায়ের করলে শুনানী শেষে মাননীয় আদালত তিন কার্যদিবসের মধ্যে দরখাস্তটি এজাহার গণ্যে বিশ্বনাথ থানার ওসিকে নিদের্শ প্রদান করেন। বাদী তার অভিযোগে বলেন, দশঘর মৌজার জেএল নং-১০১, বিএস খতিয়ান-১৫৬৫, বিএস দাগ-৪০০১ মৎস্য খামার রকম ভূমিতে আসামীরা খামারে উপস্থিত হয়ে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা না দেওয়ায় আসামীরা ঝাপটে ধরে বাদীর গলায় গামছা লাগিয়ে শ্বাসরূদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। এ ধরনের মামলার খবর পেয়ে আশপাশ গ্রামের লোকজন চরম উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এলাকাবাসী জানান, তপসিল বর্ণিত ভূমিতে কোন মৎস্য খামার নেই এবং সেখানে নুন্যতম কোন ঘটনা ঘটেনি। কেউ কারও সাথে সামান্য কথা কাটাকাটিও করেননি এবং আশাপাশের কেউ ঘটনা সম্পর্কে জানেওনি। এমতাবস্থায় চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে নিরিহ দশজনকে হয়রানী করায় বাদী ও স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবী জানান। এলাকার ৮৭জন গণ্যমান্য ব্যক্তি এই সাজানো মামলা প্রত্যাহার ও বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।
এলাকার মুরব্বী আকিকুর রহমান বলেন, বাদীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো। ঘটনাস্থলে কোন মৎস্য খামার নেই এবং চাঁদাবাজিরও কোন ঘটনা ঘটেনি। আমরা বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করছি।
মামলার আসামী জামেয়া ইসলামিয়া লহরী মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল গণি আনসারী বলেন, বাদীর অভিযোগের একটি শব্দেরও কোন সত্যতা নেই। এলাকাবাসীকে হয়রানী করার জন্য মিথ্যা ভাবে মামলাটি সাজানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার এসআই অরূপ চক্রবর্তী বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন। তাই এ বিষয়ে কোন বক্তব্য প্রদান করা যাচ্ছে না।