বিশ্বনাথে আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনে বিশেষ টিম : মেরামত করা ঘর দেখেছেন

Uncategorized
শেয়ার করুন

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : বিশ্বনাথ উপজেলায় মজিব বর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্মিত ঘর তৈরীতে অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি বিশেষ টিম বিশ্বনাথ পরিদর্শন করেছেন। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের নেতৃত্বে ৫সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ১০ জুলাই শনিবার বিশ্বনাথে আসেন। তারা বিশ্বনাথ ইউনিয়নের দন্ডপানিপুর এলাকায় নির্মিত ১৬টি ঘর পরিদর্শন করেন। এই ভেঙ্গে যাওয়া ঘরগুলো ইতিপূর্বে মেরামত করা হয়েছে। এ ধরনের অবস্থা বাকি ঘর গুলোতে বিরাজমান। পরিদর্শককারি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের এ প্রকল্পে কোনো অবহেলা, অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এ উপজেলায় নির্মিত এই ঘর গুলো নির্মানের পর দেয়ালে ফাটল ও ধসে পড়ে ফ্লোরে ফাটল, পানি নিস্কাশনের সমস্যা, বিদ্যুৎ নেই, পানি নেইসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত বসবাসকারিরা। তারা স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ ঘর নির্মাণে নাম মাত্র টাকা খরচ করে বাকি সব ভাগ বাটোয়ারা করা হয়েছে। ঘরগুরোর দুরাবস্থা সংবাদ চলে যায় স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট। স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে ঘর নির্মানের ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি দেখতে পান। এই খবর চলে যায় ঘর নির্মাণকারি ব্যক্তি ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নজরে। এসব অনিয়ম ফেসবুক ও কিছু কিছু গণমাধ্যমে প্রচার হয়। সপ্তাহ খানেক আগে দন্ডপানিপুর এলাকায় ধসে যাওয়া ঘর গুলো পুঃণ মেরামত করা হয়। জাতীয় একটি দৈনিক এই ঘর গুলো ফাটল ধরার কথাও উল্লেখ থাকায় পরিদর্শনকারি দল শুধু মাত্র এই এলাকা পরিদর্শন করেছেন। নির্মিত ঘর গুলো হচ্ছে, বিশ্বনাথ দন্ড পানি পুর এলাকায় ১৬টি, দীতপুরে ২৭টি, খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বাওয়ন পুর এলাকায় ২০টি, রাজাগঞ্জ বাজার এলাকায় ১৬টি, ভাটপাড়া এলাকায় ৩৬টি লামাকাজি ইউনিয়নে ৪৩টি, দশ ঘর ইউনিয়নের জীবন পুরে ২৮টি, কাসিম পুরে ৬টি মোট ১৯২টি ঘর তৈরী হওয়ার পর বর্তমানে ১৮৫টি ঘরে লোকজন বসবাস করছেন। ৮০টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিটি ঘরে ১লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয় হিসেবে ২৬৫টি ঘর নির্মাণে সরকারিভাবে ৪কোটি ৫৩লাখ ১৫হাজার টাকা অর্থ বরাদ্ধের কথা জানাযায়।
স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ প্রতিটি আশ্রয়ন প্রকল্পের দেয়াল, ফ্লোরসহ ঘরের বিভিন্ন স্থান ফেটে গেছে, না হয় ধসে পড়েছে। প্রশাসনের সরাসরি তত্বাবধানে নির্মাণের কথা থাকলেও চেয়ারম্যান মেম্বার ও জামাত বিএনপির লোকজন এই কাজ করেছেন। গত সপ্তাহ খানেক ধরে এসব ঘর নির্মানের অনিয়মের দূর্নীতির কথা লোক মুখে চর্তুরদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।

রাজাগঞ্জ বাজার পৌষণী মৌজায় প্রথম দফায় ঘর গুলো তৈরীর অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে জাতীয় একটি দৈনিকে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে পরবর্তীতে ঘর নির্মাণে দূনীতি ছড়িয়ে পড়ে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *