স্টাপরিপোটার: বিশ্বনাথ উপজেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্রয়ান প্রকল্পের ঘর নির্মাণে চরম অনিয়ম,দুর্নীতির মাধ্যমে গরীবের ঘর নির্মাণের টাকা আত্নসাত করা হয়েছে।মুজিববর্ষে ভূমিহীনদের জন্য দুই শতাংশ জমির উপর আধাপাকা ঘর তৈরী করে দেয়ার ঘোষনা দেন প্রধানমন্ত্রী। একটি ঘরের নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে,১লাখ ৭১ হাজার টাকা।এ উপজেলায় ইতিবধ্যে ১৮৫ ঘর ভূমিহীনদের সমজিয়ে দেয়া হয়েছে। ৮০টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে,।বুকভরা আশা নিয়ে ভূমিহীনরা ঘরে বসবাস শুরু করে ছিলেন। কিন্তু এখন তারা চরম আতংকিত। যে কোন সময় স্বপ্নের সেই ঘর মাথার উপর পড়তে পারে। ঘরে ঢুকার আগেই ভেঙ্গে যাচ্ছে,দেয়াল,ফ্লোরে ফাটল,ছাদ ছুয়ে পানি পড়ে,অনেক ঘরে আলো নেই, রাস্তা নেই,কাদা ময়লা আবর্জনা, দিনে রাতে পোকা-মাকড়, সাপ ইদুর ঘরে ঢুকে যায় সহজে। মাটি কম কাটায় ঘর গুলো ডুবে যেতে পারে,।ঘর ণির্মানে পুকুর চুরি নয়, সাগর চুরি করা হয়েছে। অনেকেই ইতিমধ্যে ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমির সরাসরি তত্বাবধানে এসব ঘর তৈরীর কথা। কিন্তু সাবেক ইউএনও বর্ণালীপাল প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে জামাত বিএনপির তার পছন্দের ঠিকার দিয়ে কাজ করান। ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ লুট করা হয়েছে ।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়,বিশ্বনাথ দন্ড পানি পুর এলাকায়১৬টি,দীত পুরে২৭টি, খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বাওয়ন পুর এলাকায় ৪৬টি ঘরের মধ্যে২০টি, লামাকাজি ইউনিয়নে৪৩টি,রাজাগন্জ বাজার এলাকায় ১৬টি,ভাটপাড়া এলাকায়৩৬টি, দশ ঘর ইউনিয়নে জীবন পুরে২৮টি, কাসিম পুরে১৪টি সহ২৬৫ ঘর সরকার তৈরী করার অর্থ বরাদ্দ করেছেন।
একটি সিন্ডিকেট সামান্য ভাবে টাকা খরচ করে কোন রকম ঘর তৈরী করে অধিকাংশ টাকা হরিলুট করেছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবী করা হয়েছে।