স্টাফ রির্পোটার ঃ বিশ্বনাথ উপজেলার সবচেয়ে বড় হাওর চাউলধনী হাওরের লীজ গ্রহনের প্রতারনা জ্বালিয়াতি ও ভুয়া মৎস্যজীবী দিয়ে কমিটি গ্রহন করে লীজ গ্রহন করায় আজ (৩০জুন) ২৪ জনের বিরুদ্ধে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আমলী হারুনুর রশিদের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত অভিযোগটি এজহার গণ্যে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিশ্বনাথ থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলাটির শুনানী করেন সিনিয়র আইনজীবী মো: রেজাউল করিম, এএসএম গফুর ও সামিউল আলম। মামলার বাদী হচ্ছেন, কামারগাও গ্রামের মৃত আব্দুর রজ্জাকের পুত্র রুশন আলী।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী। দন্ডবিধি আইনের ৪১৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/ ৪০৬/ ৩৭৯/১০৯ ধারা মতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, দশঘর মৎসজীবী সমবায় সমিতিটি একটি বেআইনি সমিতি। অমৎস্যজীবীদের নিয়ে জ্বাল কাগজ পত্র ও প্রতারনা করে সমিতির নামে লীজ গ্রহন করা হয়। সাবলীজের ২২ অংশের মধ্যে একাই ২১ অংশ আসমী সাইফুল গ্রহন করবে। বিশ্বনাথ উপজেলা মৎস্য ও সমবায় অফিসের সহয়তায় সম্পুর্ন বেআইনি ভাবে সমিতি গঠন করে প্রতারনার মাধ্যমে চাউলধনী হাওরটি লীজ গ্রহন করা হয় মর্মে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এই জ্বালিয়াতির মূল হোতা হচ্ছেন চৈতন নগর গ্রামের আফতাব আলীর পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলম, আব্দুল জলিল সহ অন্যরা। দশঘর সমবায় সমিতি হাওরটি লীজ নিয়ে কৃষকের খাল,বিল পুকুর জোর পূর্বক দখল করে কয়েক কোটি টাকার মাছ লুট করে নেয় প্রতারকরা।
হাওরের পানি সেচ দিয়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি করেছে আসামীরা। বলা আবশ্যক যে দশঘর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি অবৈধ ভাবে লীজ গ্রহন করে গত ১০/১২ বছর ধরে ২৫/৩০ হাজার কৃষককে হয়রানি করছে। ইতিমধ্যে লীজ ও সাবলীজ গ্রহিতারা ছরকুম আলী দয়াল ও একজন স্কুলছাত্র সুমেল কে খুন করা হয়েছে।
এ নিয়ে চাউলধনী হাওরপারের এলাকার কৃষকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতিপূর্বে মহামান্য হাইকোট হাওরের সীমানা নির্ধারনের নিদেশ দিয়েছেন।