স্টাফ রির্পোটার: অবশেষে বিশ্বনাথ উপজেলার প্রখ্যাত চাউলধনী হাওরের সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত ভূমির সাথে কৃষকের ভূমির সীমানা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট।
এ নির্দেশনা জানার পর নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মধ্যে হাসি ফুটেছে। তারা আদালতের নির্দেশে মহা খুশি। যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র সহ দেশ বিদেশে থাকা কৃষকদের পক্ষে লোকজনও আনন্দ উল্লাস করছেন। চাউলধনী হাওর রক্ষা ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক ও বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য আবুল কালাম মহামান্য হাইকোটে সীমানা নিধারনের জন্য একটি রিট আবেদন করেন।
২২ জুন মহামান্য হাইকোটে বিচারপতি এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মস্তাফিজুর রহমান এর দ্বৈত্য বেঞ্চ দীর্ঘ শুনানী শেষে সিলেটের জেলা প্রশাসক সহ রিট আবেদনের বিবাদীদের ৪৫ দিনের মধ্যে সীমানা নির্ধারনের নির্দেশ প্রদান করেন।
বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবি মোস্তাক আহমদ রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানী করেন। আদালতকে জানানো হয় যে, চাউলধনী হাওরের ১৭৮.৯৮ একর জলাশয় সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত লীজ দেয়া হলে লীজ গ্রহিতা বাহিনী কৃষকদের খাল, বিল, পুকুর ও জমি জোরপূর্বক দখল করে সেচ দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এতে কৃষকরা বাধা দিলে লীজ গ্রহিতা ও তার অস্ত্রবাজ বাহিনী দয়াল নামে একজন কৃষক ও স্কুল ছাত্র সুমেলকে গুলি করে হত্যা করে। এ দুটি হত্যাকান্ডের পর গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার ও প্রচারনার কারনে ব্যাপক নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। কৃষকরা মৎস্য, কৃষি, ভূমি মন্ত্রনালয় ও জেলা প্রশাসক বরাবরে সীমানা নির্ধারনের আবেদন করলে কেউ কোন কর্নপাত করেননি। ফলে কৃষকদের পক্ষে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশনটি দাখিল করা হয়েছিল।
বিশ্বনাথের ডাক ২৪ ডটকম এর পক্ষ থেকে রিট আবেদন দাখিলকারী এডভোকেট মোস্তাক আহমদের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শুনানীকালে সীমানা নির্ধারনের যতেষ্ট প্রমাণাদি ও যুক্তিকথা উপস্থাপন করায় দ্বৈত্য বেঞ্চের বিচারপতিগণ সন্তোষ্ট হয়ে সীমানা নির্ধারনের আদেশ প্রদান করেন।