স্টাফ রির্পোটার: বিশ্বনাথ উপজেলার সবচেয়ে প্রবীণ সিটিজেন হচ্ছেন মধুবিবি। তিনি উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত ওয়াহিদ আলীর স্ত্রী। মধুবিবি ৫ সন্তানের জননী। ১৯৮৬ সালে তিনি পবিত্র হজ্জ পালন করেছেন। ১৯৭৪ সালে তার স্বামী ওয়হিদ আলী মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীর প্রতি খুবই সন্তোষ্ট ছিলেন তিনি। স্বামীর দেয়া দুই টাকার কাপড়ও পরিধান করেছেন। এ কথাগুলো তিনি নিজেই বলেছেন। জীবনদশায় নাতি-নাতনিদের ঘরের ছেলে-মেয়েদেরকেও তিনি দেখেছেন। তিনির ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী তার বয়স ১০১বছর হলেও তিনি জানিয়েছেন ভোটার আইডি কার্ডে জন্ম তারিখ ভূল লেখা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তার বয়স ১২০বছর হতে পারে। এতে ধারনা করা হচ্ছে তিনি বর্তমানে বিশ্বনাথের একজন প্রবীণ মহিলা। এখনও তিনি ঠিকমত খাওয়া দাওয়া গোসল এবং নিয়মিত একাই নামাজ পড়তে পারেন। তবে গত সপ্তাহখানেক ধরে অন্যের সহযোগিতায় বাথরুমে আসা-যাওয়া করেন। তার স্মরণ শক্তি এখনও প্রবল। যে কাউকে দেখলেই চিনতে পারেন কিংবা পরিচয় দিলে বাপ-দাদারও নাম বলতে পারেন। আশুগঞ্জ বাজারে তার বড়পুত্র বশির আহমদ এর একটি ফার্মেসী রয়েছে। বশির আহমদ জানান, তার মা আজীবন শৃঙ্খল জীবন যাপন করে আসছেন। গরিবদের প্রতি তার দরদ খুবই বেশি। কোন দিন কাউকে কটু কথা বলেননি। বশির আহমদ খুশি মনে প্রতিনিয়ত মায়ের সেবা করে যাচ্ছেন।
মধুবিবির সাথে বিশ্বনাথের ডাক ২৪ ডটকম এর পক্ষ থেকে কিছু সময় তার জীবনবৃত্তান্তসহ অনেক বিষয় আলোকপাত করা হয়। তার স্মরন শক্তি দেখে বিস্মিত হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। কোন কিছু জিজ্ঞাসা করলে চটপট উত্তর দিয়ে থাকেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আপনার শেষ ইচ্ছা কি ? তিনি সোজাসোজি জানালেন কালেমা পড়ে পড়ে যেন আমার মৃত্যু হয়। এ দেশের মানুষের প্রতি আপনার শেষ বার্তা কি ? মধুবিবি জানালেন আল্লাহর ইবাদত করা, পরিমিত খাওয়া, গরিবদের সাহায্য করা, কাউকে কঠোর কথা না বলা এবং মিথ্যা কথা থেকে বিরত থাকলে মানুষ ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারবে। মধুবিবির বড় পুত্র বশির আহমদ দেশ বিদেশে সকলের প্রতি তার মায়ের জন্য দোয়া চেয়েছেন।