করোনা প্রতিরোধে গনসচেনতাই একমাত্র উপায়–এএইচএম ফিরোজ আলী

Uncategorized
শেয়ার করুন

এএইচএম ফিরোজ আলী::  করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ মানব সভ্যতার বড় এক শত্রু। এ ভাইরাসের তান্ডবে বিশ্ব যেমন কম্পিত, উদ্বিগ্ন, আতংকিত, তেমনি বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এ দেশের ধনী-গরিব সকল মানুষের চেহারায় দুশচিন্তার চাপ। থমকে গেছে মানুষের জীবন। সর্বত্র এক অজানা আতংক। মানব জীবনে আনন্দ উচ্ছাস নেই। অবাধ চলাফেরায় বাধা। করোনা ভাইরাস কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। যেখানে সুযোগ সেখানেই আক্রমন। এই সুযোগ হচ্ছে, অসাবধানতা। তাই ভয়ানক এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতেই হবে। পাশ্ববর্তি দেশ ভারতে মহামারী শুরু হয়েছে। রাস্তাঘাটে মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। করোনাকালিন সময়ে ভারতে নির্বাচনের কারনে এমন অবস্থা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসে বিশ্বে কোটি মানুষ আক্রান্ত। মারা যাচ্ছেন, লাখ লাখ মানুষ। করোনা ভাইরাসের প্রথম ধাপে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক প্রাণহানি ঘটলেও আমাদের দেশে তেমন ক্ষতি করতে পারেনি। সাধারণ মানুষ ও সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমে করোনা মোকাবেলা সহজ হয়েছিল। এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিদের্শনা অধিকাংশ লোক মানছে না। করোনা সংক্রমনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে দশম স্থানে রয়েছে। প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। করোনাকে কেন্দ্র করে নতুন রাজনীতি মিথ্যাচার ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ফেইসবুকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বেশি। মহামারীকে কেউ পাত্তা দিচ্ছে না। স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে কারও কোন মাথা ব্যথা নেই। গণপরিবহণ, মসজিদ-মাদরাসা, ওয়াজ মাহফিল, হাট- বাজারে হোটেল-রেস্তুরা, শহর-গ্রামে স্থল বন্দর-বিমানবন্দরে সব জায়গায় অধিকাংশ লোক মাস্ক ব্যবহার করছেন না। গণমাধ্যমে দেশের এমন দূরবস্থা প্রকাশ পাচ্ছে। বুঝা যাচ্ছে, এদেশে এখন সবাই রাজা। মাস্ক ব্যবহারের কথা বললে, এক শ্রেণীর লোক তারা ক্ষেপে যান। কঠোর ভাষায় কটুক্তি ও সরকারকে গাল মন্দ করেন। এ নিয়ে প্রতিদিন রাস্তা ঘাটে বাধানুবাদ দেখা যাচ্ছে। করোনা টিকার বিরুদ্ধেও কিছু লোক পরিকল্পিত ভাবে অপপ্রচার করছে। করোনার টিকাকে বুড়িগঙ্গার পানি ও মুরগীর টিকা বলে যারা প্রচার করছিল, তারা এখন গোপনে টিকা গ্রহণ করছেন। এক সময় এদেশে ইপিআইর টিকা নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছিল। ‘‘নো মাক্স নো সার্ভিস” সরকারের এমন নিদের্শনাও মানা হচ্ছে না। ভ্রামমান আদালত অর্থদন্ড করেও মানুষের মুখে মাস্ক পরাতে পারছে না।
শীতকালে করোনার সংক্রমন বাড়ে, গরমে কমে যায়, করোনায় বয়স্কদের আক্রমন করে বেশি, তরুণদের কম এমন সব ধারণা এখন পাল্টে গেছে। গরমে ভাইরাসটি দুবর্ল না হয়ে মহামারী রূপ নিচ্ছে। তরুণরাও আক্রান্ত হচ্ছে। ভাইরাসের গতি প্রকৃতি বদলে গেছে। প্রথম দফায় ভাইরাসের যেসব লক্ষণ বা উপসর্গ ছিল, এখন তা নেই। বর্তমানে রোগীর শ্বাস কষ্ট হলে করোনা বলে সনাক্ত করা হয়। যতটুকু বুঝা যাচ্ছে, আমাদের উদাসীনতার কারনে বিপদের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে আমাদের।
রমজানে সিলেট শহরের একটি জামে মসজিদে নামাজ আদায় করেছিলাম। দেখা গেল প্রায় দুইশত মুসল্লিদের মধ্যে ১০/১৫জনের মূখে মাস্ক লাগানো আছে। এর আগেও গ্রামের কয়েকটি মসজিদে একই অবস্থা দেখলাম। গ্রামে-গঞ্জে বাড়ি ঘর কমিউনিটি সেন্টারে মাস্ক বিহীন বিয়ে শাদী হচ্ছে। এক বিবাহ অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখি কারও মুখে কোন মাস্ক নেই। এ নিয়ে রীতিমত এক বাকযুদ্ধ। তাদের মতে, হেফাজত ইসলামকে আন্দোলন থেকে থামানোর জন্য করোনার অযুহাতে লকডাউন দেয়া হয়েছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। হেফাজতপন্থী মসজিদের অনেক ইমাম মোয়াজ্জ্বিন জানিয়েছেন, রমজানে মসজিদে তারাবিহ বন্ধের জন্য সরকার কৌশল করছে। ভারতের নরেন্দ্র মোদির ইঙ্গিতে এসব করা হচ্ছে। সর্বত্র দল বেধে হেফাজতিরা মিথ্যাচার ও গুজব রটিয়ে সহজ সরল ধর্মপ্রাণ মানুষকে উস্কে দিচ্ছে। ফেইসবুকে নামে-বেনামে আইডি খুলে প্রচারনা করছে। এক শ্রেণীর চেনা-জানা শিক্ষিত লোকরাও এ কর্মকান্ডে জড়িত। কিছু সংগঠনগুলোর কর্মী সর্মথকরা একাট্টা হয়ে গ্রামে- গঞ্জে ব্যাপক ভাবে গুজব রটাচ্ছেন। আরেক শ্রেণীর লোক বলছেন, করোনা ভাইরাস আল্লাহর গজব। গজব দিয়ে মহান আল্লাহ পাপীদের ধবংস করছেন। যারা গরিবের হক মেরে খায়, দেশের ক্ষতি করে, ঘুষ দূর্নীতিতে নিমজ্জিত তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। গরিব কৃষক-শ্রমিক দিনমজুর কেউ করোনায় মারা যায়নি। এসব কারনে মানুষ করোনাকে ভয় পাচ্ছে না, স্বাস্থ্যবিধিও মানছে না। বড় বড় শহরে এমন পরিস্থিতির খবর গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। প্রথম দফায় শতভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছেন। কিন্ত বর্তমানে ৪/৫ভাগ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন্।
পৃথিবীতে যুগে যুগে মানুষ ছোঁয়াছে বা ভাইরাস জনিত রোগের সাথে লড়াই করে আসছেন। প্রাণঘাতি প্লেগ, জিকাভাইরাস, ইবোলা, কালাজ্বর, হলুদজ্বর, কোষ্টরোগ, জলবসন্ত, গুটিবসন্ত, কলেরা, ইনফ্লোয়েঞ্জা, ম্যালেরিয়া, যক্ষা, টাইফয়েড, হাম, ধনুষ্টংকার, জলাত্মঙ্ক এমনকি এইচআইভি ভাইরাস এইডস রোগও মানুষ মোকাবেলা করছে। ১৭৯৬সালে সর্বপ্রথম গুটি বসন্তের টিকা আবিস্কার করা হয়েছিল। সে সময় চিকিৎসা বিজ্ঞান তেমন উন্নত ছিল না। ৬০ দশকের পর, পরবর্তী আরও দুই তিন দশক আমাদের দেশে সাধারণ রোগ ডায়রিয়ায় গ্রামের পর গ্রাম মহামারী আকারে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এক ছিমটি লবন ও এক মুটি গুড় দিয়ে এক লিটার নলকূপের পানী অথবা পুকুরের ফুটানো পানিতে খাবার স্যালাইন তৈরী করে ডায়রিয়া নিমূল শুরু করা হয়। এখন আর ডায়রিয়া বা কলেরা রোগের আক্রান্তের কোন সংবাদ তেমন পাওয়া যায় না । একমাত্র খাবার স্যালাইন তৈরীতে জনসচেতনতা সৃষ্টি হওয়ায় রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। কিন্তু সে সময়ও ডায়রিয়া ও ধনুষ্টংকার রোগ নিয়েও এক শ্রেণী মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা ছিল। ধনুষ্টংকা রোগকে জ্বীন ভূতের আশ্রয় মনে করে গলায়, হাতে-মাথায় তাবিজ-কবজ বেধে নিরাময়ের চেষ্টা করা হতো। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও সেই ভ্রান্ত ধারণা আমাদেরকে মহামারীর দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এক শ্রেণীর লোক বলছেন, করোনা কোন রোগ নয়, মাস্ক বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি তারা উড়িয়ে দিচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কঠোর বার্তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নিদের্শনা অন্যসব দেশ মানলেও বাংলাদেশে তা পুরোপুরি মানা হচ্ছে না।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে ২০১১সাল থেকে ২০১৭সাল পর্যন্ত এই ৭বছরে বিশ্বব্যাপী ১হাজার ৩০৭টি মহামারী ভাইরাস আক্রমন করেছে। ভূতত্ববিদ বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বলেছেন, প্রতি একশ বছর বা শতাব্দীর পর প্রকৃতিতে পৃথিবীতে বড় ধরণের পরিবর্তন সাধিত হয়। পৃথিবীর প্রাচীণ সভ্যতার মিশরীও মমির গায়ে বসন্ত রোগের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। মিশরের ফাবাওরা নামক নৃপতি গোষ্টি গুটি বসন্ত ধ্বংস হয়েছিল। গ্রীকস্ এর এথেন্স টাইপাস মহামারীতে দুই তৃতীয়াংশ মানুষ মারা গিয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৩০এ এথেন্স-এ বসন্ত রোগে ৩০হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল। ১৯৬৫ থেকে ১৯৮০খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রোমে ১৫বছরে গুটি বসন্তে জনশূণ্য হয়েছিল। তখন রোমকে বলা হতো ভূতের নগরী। ৭৩৫থেকে ৭৩৭খ্রিষ্টাব্দ দুই বছরে জাপানে প্লেগ রোগে এক তৃতীয়াংশ লোক মারা গিয়েছিল। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ইদুরের খাদ্য ও প্রসাব থেকে প্লেগ রোগের জন্ম হয়। ১৫১৯ সালে মেক্সিকোতে স্মল পক্স রোগে ৮০লক্ষ লোক মারা গিয়েছিল। ১৬৩৩ সালে ফ্রান্স ও গ্রেট বৃটেনে দুই কোটি মানুষ মারা যায় এ রোগে। ১৭২০ সালে পৃথিবীতে বিশ কোটি লোক স্মল পক্সে মারা যায়। তার ১০০বছর পর শুধু ভারত বর্ষে কলেরা রোগে লাখ লাখ লোক মারা গিয়েছিল।
১৯৬০এর দশকে প্রথম আবিস্কৃত হয় করোনা ভাইরাস। ২০১৯সালে চীনের একটি শহর থেকে এই ভাইরাসের জন্ম হয় এবং মালেশিয়া ফিলিপাইন থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার সব কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ২০২০সালের ৮ মার্চ ঢাকা ও মাদারিপুরে সর্ব প্রথম তিনজনের করোনা ধরা পড়ে। প্রথম দিকে এ ভাইরাস নারায়ণগঞ্জ ও মাদারীপুরে আক্রমন করে। ধারনা করা হচ্ছে, নারায়নগঞ্জ থেকে পোষাক কর্মীদের মাধ্যমে এ ভাইরাস দেশে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
করোনা ভাইরাস সার্স বা ইবোলা ভাইরাসের চেয়ে অনেক বেশি বিপদজনক। বিজ্ঞানীদের মতে, করোনার অনেক প্রজাতি রয়েছে। এর মধ্যে ৭টি প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। করোনা নামক ভাইরাসটি এক মানব দেহ থেকে আরেক মানব দেহে সহজে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে আরেক জনের দেহে ছড়ায় এবং ফুসফুসের সংক্রমন ঘটায়। মানুষের স্বাভাবিক অভ্যাস হল কারনে-অকারনে হাত, নাকে-মুখে লাগায়। এতে হাতের জীবানু থাকলে, নাক বা মুখ দিয়ে শ্বাসতন্ত্রে চলে যায়্। এ কারনে বার বার সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার এবং সহজে হাত, মুখে বা নাকে স্পর্শ না করার কথা বলা হয়েছে। নাক মুখ ঢেকে মাস্ক ব্যবহার করা বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার নিদের্শনা রয়েছে। দেখা যায়, কিছু লোক মাস্ক ব্যবহার করলেও কথা বলার সময় মুখের মাস্ক সরিয়ে কথা বলে থাকেন। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির থুথুর ফুটা নাকে, মুখে পড়ে বা তার শ্বাসের মাধ্যমে অপরজন সংক্রমনের সম্ভাবনা খুবই বেশি। এখন আক্রান্ত কে হয়েছেন, জানার উপায় কি ? উত্তর হচ্ছে, জানার কোন উপায় নেই। কারন যে ব্যক্তি সকালে পজেটিভ, বিকেলে তার রির্পোট নেগেটিভ, আবার সিলেট পজেটিভ হলে ঢাকায় গিয়ে রির্পোটে নেগেটিভ। তার মানে চিকিৎসা বিজ্ঞানও রোগটির অবস্থান দৌড়ে ধরতে পারছেনা। একমাত্র উপায় হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক ব্যবহার করা, অযথা ভীড় না জমানো ইত্যাদি। ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার ৫দিন পর নাকি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। কথায় আছে, “রোগাক্তান্ত হয়ে ঔষুধ সেবনের চেয়ে আগেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত”। এ ভাইরাসটির ব্যাপারে কথাটি শতভাগ প্রযোজ্য। আক্রান্ত ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলা বা তার সাথে সর্তকভাবে কথা বলা অবহেলা বা অযত্নের কোন কথা নয়। বাঁচতে হলে জানতে হবে। সুস্থ-অসুস্থ সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে। করোনাকালিন সময়েও দেশের কিছু লোভি লোক প্রতারণারও আশ্রয় নিয়েছে। প্রতারক সাহেদ ও তার স্ত্রীর দূর্নীতি ইতিহাসে কুখ্যাতি অর্জন করে আছে। রাস্তাঘাটে পড়ে থাকা মাস্ক কুড়িয়ে পরিস্কার করে পূনরায় বিক্রি হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারী হাসপাতালে নিলজ্জভাবে মানুষের সাথে অমানুষিক আচনের খবরও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তর সংখ্যা ৭৪৮৬২৮জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১১১৫০জন (২৪এপ্রিল পর্যন্ত)। সর্বশেষ ২৬ এপ্রিল সোমবার মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জন। করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আমরা অনেক আপনজন, দেশের সম্পদ মানুষকে চিরকালের জন্য হারিয়েছি। ৭ এপ্রিল থেকে লকডাউন শুরু হয়ে ৫ মে পর্যন্ত ৩য় দফা লক ডাউন চলছে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষ দিশেহারা। খেটে খাওয়া মানুষ বেঁচে থাকার সন্ধান খুজছেন। করোনার প্রথম দিকে মানবিক সহায়তার ব্যাপক সারা পড়েছিল সমগ্র দেশে। কিন্তু বর্তমানে তেমন সারা পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাধীনতার সংগ্রাম থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যে কোন সৃষ্ট দূর্যোগে সিলেটে মানবিক সহায়তার অনেক ইতিহাস রয়েছে। আমরা যেন সম্মিলিত ভাবে করোনাকে পরাজিত করে অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে পারি সে দিকে নজর দিতে হবে। সমাজের প্রতিটি সচেতন মানুষ সকল অপপ্রচার, বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে প্রত্যেকটি পরিবার, গ্রাম, পাড়া-মহল্লায় গণসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে মহামারী এ করোনা থেকে মানুষকে রক্ষা করতেই হবে। মহান আল্লাহ যেন আমাদের সহায় হউন।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *