স্টাফ রির্পোটারঃ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা অলংকারী ইউনিয়নের টেংরা চানপুর গ্রামে সবজি ক্ষেত্রের পতিত জায়গায় চাষ করাকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইয়ের মধ্যে মারামারিতে ৫জন আহত। আহতদের মধ্যে আব্দুস ছত্তারের চোখের জখম গুরুত্বর বলে জানা গেছে। তিনি এখনও সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আব্দুস ছত্তার দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে শালিস করতে এসেছিলেন।
প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, গত ৩ মে সোমবার মানিক মিয়া তার বাড়ীর সামনে কিছু জায়গায় সবজি চাষের জন্য মাটি কাটতে ছিলেন। এসময় তার ভাই আব্দুল খালিক ও তার উশৃঙ্খল স্ত্রী রিনা বেগম এবং আব্দুল আজিজ, শাহীন মিয়া, আব্দুল ওয়াহিদ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র মানিক মিয়ার উপরে আক্রমন করে। এতে আব্দুস ছত্তার, মানিক মিয়া, সাহেদ মিয়া, জাহেদ মিয়া, সেবুল মিয়া গুরুত্বর জখম হন। মারামারি না করার জন্য আব্দুস ছত্তার দৌড়ে গিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করলে আব্দুল খালিকের লোকজন তাকেও পিঠিয়ে জখম করে। তার একটি চোখে গুরুত্বর জখম থাকায় তিনি এখনও ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় আব্দুল ছত্তারের স্ত্রী নেওয়ারুন নেছা বাদী হয়ে ৩২৬/৩০৭/১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৫০৬ দ:বি ্আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনারস্থল পরিদর্শন করলেও কোন আসামী এখনও গ্রেফতার হয়নি। বরং বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রভাবশালী মহল চাপ সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় জনসাধারনের অভিযোগ আব্দুল খালিকের স্ত্রীর কারনে বার বার এ দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়।
এদিকে, আব্দুস ছত্তারের স্ত্রী নেওয়ারুন নেছা মামলা দায়েরের আগেই একটি চক্র ও আব্দুল খালিককে দিয়ে তড়িগড়ি করে ৮জনকে আসামী দিয়ে একটি মামলা দায়ের করে। স্থানীয় মুরব্বীগণ বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করলেও আব্দুল খালিক ও তার স্ত্রীর কারনে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না বলে স্থানীয় মুরব্বীয়নগণ অভিযোগ করেছেন।
বিশ্বনাথ থানার এসআই নূর হোসেন জানান, উভয় পক্ষ মামলা দায়ের করেছেন। কোন আসামী এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।
এলাকার বিশিষ্ট শালিস ব্যক্তিত্ব মজিরুল ইসলাম চৌধুরী তকবির মিয়া জানান, বিষয়টি মীমাংসার জন্য এলাকার মুরব্বীরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু জখমী আব্দুস ছত্তারের অবস্থা আশংকাজনক থাকায় কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাচ্ছে না।