মৌলভীবাজারের কুলাউায় ট্রেন দুর্ঘটনার পর ওই এলাকায় হঠাৎ করে চোরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। খোয়া যাচ্ছে যাত্রীদের মূল্যবান মালামাল।
রাত সাড়ে ১১ টায় ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকেই এক শ্রেণীর সুযোগ সন্ধানী লোক দুর্ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে যাত্রীদের মালামাল চুরি করা শুরু করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে মালামালসহ সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান।
রোববার রাত ১১টার দিকে কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশনের পাশে বনশাইল নামক স্থানে সেতু ভেঙ্গে উপবন ট্রেনের তিনটি বগি নদীতে ছিটকে পড়ে। লাইনচ্যুত হয় আরও কয়েকটি বগি। এতে এখন পর্যন্ত তিনজনের লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। আর কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র চারজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এতে শতাধিক যাত্রী আহতের খবর জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র। রাতে সিলেট স্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্য ওই ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
উদ্ধার কাজে দমকল বাহিনীর ১২টি ইউনিট কাজ করছে।
দুর্ঘটনার ফলে সিলেটের সাথে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি সেতু ভেঙ্গে পড়ায় সিলেটের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোোগও পাঁচ দিন ধরে প্রায় বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন ঢাকাগামী যাত্রীরা। ফলে ধারণক্ষমতার চেয়ে প্রচুর বেশী যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি সিলেট থেকে ছেড়ে যায়। সুত্র সিলেট টুডে