বিশ্বনাথ চাউলধনী হাওরের মাছ চুরির মামলার চার্জশিটের পর তদন্তের নোটিশ

Uncategorized
শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্বনাথ উপজেলার চাউলধনী হাওর রক্ষা কমিটির বিরুদ্ধে একটি মাছ চুরির মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর তদন্তের নোটিশ দেয়া হয়েছে। এনিয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। সাজানো মামলায় চার্জশিট দাখিলে জনপ্রতিনিধিরা চরমভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মামলার কাগজ পর্যালোচনায় দেখা যায় চাউলধনী হাওর এলাকায় মৌখালি বিলে চানপুর গ্রামের নোয়াব আলীর একটি পুকুর মাছের জন্য খরিদ করেন কালিটেকা গ্রামের আব্দুল করিম। গত বছর ২৪ ডিসেম্বর মাছ ধরার জন্য পুকুরে মেশিন দিয়ে পানি সেচ দিতে থাকেন। খবর পেয়ে চাউলধনী হাওরের কথিত লিজ গ্রহীতা দশঘর নোয়াগাঁও গ্রামের আব্দুল জলিল উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও হাওর রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালামসহ নয়জনকে আসামি করে পাঁচ লাখ টাকার মাছ লুট করে নেয়ার একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় পুকুরের ক্রেতা বিক্রেতা নোয়াব আলী ও আব্দুল করিমকে আসামি করা হয় নি। মামলাটি দায়েরের পর এলাকাবাসী সিলেটের ডি আই জি ও পুলিশ সুপারের নিকট সাজানো এই মামলা তদন্ত করে ফাইনাল রিপোর্ট দেয়ার আবেদন করেন। এই আবেদনের বিষয়টি তদন্তের আগেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তী গত ২৭ ফ্রেবয়ারী দন্ডবিধি আইনের ৩৭৯/১৪৩/৫০৬/৪৪৭ ধারামতে মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। এজাহারে পাঁচ লাখ টাকার মাছ লুটের কথা উল্লেখ থাকলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা তিন লাখ টাকার মাছ চুরির কথা চার্জশিটে উল্লেখ করেন। কিন্তু কোন প্রজাতির মাছ, কিভাবে তিন লাখ টাকার মাছ বহন করে নিয়েছে বা কত মন মাছ চুরি হয়েছে তার কোন ব্যাখা চার্জশিটে দেয়া হয় নি। মামলার এজহার ও চার্জশিট পাঠ করে একজন আইনজীবী মন্তব্য করে বলেছেন ঘায়েবী মামলার অদ্ভুত চার্জশিট।
এদিকে এলাকাবাসীর পুলিশ সুপারের নিকট দেয়া আবেদনের বিষয়ে আজ ২২ মার্চ ওসমানী নগর সার্কেল অফিসে তদন্ত করা হবে বলে নোটিশ দেয়া হয়েছে। বিশ্বনাথ থানার এ এস আই রেদওয়ান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমানকে তদন্তে হাজির হওয়ার নোটিশ দিয়েছেন।

বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মুহিবুর রহমান বিশ্বনাথের ডাক ২৪ডট কমের সাথে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ব্যাক্তি মালিকানাধীন জায়গায় পুকুর সেচ দিয়ে মাছ ধরার কারনে সাজানো মামলা দায়ের করা হলো। মজার বিষয় পুকুরের ক্রেতা বিক্রেতা মানে যারা মাছ ধরার চেষ্টা করল তারা আসামি নয়। যারা পুকুরের ধারে কাছে যায়নি তারা হলো আসামি। আরো মজার বিষয় মামলার চার্জশিটের পর ঘটনার সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের জন্য আমার নামে নোটিশ দেয়া হলো।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *