স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের বিশ্বনাথে এক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচক ও শিক্ষার্থীরা একমত পোষণ করে বলেছেন, ইন্টারনেট বা ফেসবুক আসক্তিরোধে অভিভাবকের ভূমিকা অপরিসীম। এক মাত্র মাতা-পিতা, বড় ভাই বোন আত্মীয় স্বজনসহ সকল কিশোর-কিশোরীদের অভিভাবকরা ফেসবুক অপব্যবহার রোধে সচেতন হতে হবে। তার চেয়ে বেশি সচেতন থাকতে হবে শিক্ষক সমাজকে। কোন মতেই ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু কিংবা এইচ এসসি পাস শিক্ষার্থী ছাড়া অন্যদের হাতে মোবাইল দেয়া ঠিক হবে না। কারণ অবাধে মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইল ব্যবহারকারী ব্যক্তি চোখ, ব্রেইন, শারীরিক এবং মানসিক ক্ষতি হয়ে থাকে। বিশেষ করে আমাদের দেশ ও জাতির আগামী দিনের কর্ণধার শিশুদের মেধার বিকাশের পরিবর্তে ফেসবুক মেধাকে ধ্বংস করছে। অনেক ক্ষেত্রে কিশোররা যৌন শক্তি হারানোর আশংকা থেকে যায়। শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার মারাত্মক ক্ষতি করছে ফেসবুক। অধিক সময় নয়, সীমিত সময়ে শুধু মাত্র প্রয়োজনে প্রাপ্ত বয়স্করা মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে এই আসক্তি থেকে বাঁচার একমাত্র পথ। কোন খারাপ তথ্য নয়, শিক্ষনীয় বিষয়ে ফেসবুক ব্যবহার করে যেতে পারে বলে ঐক্যমত পোষণ করা হয়।
বিশে^নাথের ডাক ২৪ ডটকম অনলাইন পোর্টালের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারী) বিশ্বনাথ নতুন বাজার কার্যালয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও আমাদের যুবসমাজ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করা হয়। বিশ্বনাথে ডাক ২৪ ডটকম এর সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি জবেদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক এইচএম ফিরোজ আলীর সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ফারজানা ফিরোজ ইভা। গোল টেবিল বৈঠকে স্কুল-কলেজ এবং বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিশ^নাথ উপজেলা শাখার সাধারণ মো. ফারুক আহমদ। আরও আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমির আলী, লামাকাজী রাগিব রাবেয়া স্কুল এন্ড কলেজের গভর্ণিং সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিধ ডা. মো. শানুর হোসাইন, জেদ্দা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো. আরশ আলী গণি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মো. সিতার মিয়া, যুবলীগের অন্যতম সদস্য মো. রাসেল আহমদ, অলংকারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. লিয়াকত আলী, বিশ্বনাথ ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি রুহেল খান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ইকবাল হোসাইন, নীলিমা নূর ইমা, রাহেলা বেগম, আবুল ফাত্তাহ মো. নোমান, হাজেরা বেগম সাকি, মোছা. লিমা বেগম, মো. আরিফুল ইসলাম, আল জাবের, মাছুম আলী, আবু বক্কর প্রমুখ।
লিখিত প্রবন্ধে বলা হয়, মানব সভ্যতার কোন এক মাহেন্দ্রক্ষণে বিজ্ঞানের যে জয় যাত্রা শুরু হয়েছিল, দেশে ইন্টারনেট যুগে এসে বিস্ময়কর সার্থকতার প্রমান দিয়েছে বিজ্ঞান। ইন্টারনেট ছাড়া বতর্মান সময়ে পৃথিবী নামের এক গ্রহটি একেবারেই অচল। রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, চিকিৎসা, আবহাওয়া, জলবায়ূ, জল, স্থল, আকাশা, মহাকাশ, সমুদ্র মহা সমুদ্র এখন নিয়ন্ত্রন করছে ইন্টারনেট। কিন্তু ইন্টারনেটে যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি অসুবিধাও মাত্রাহীন। ফেসবুক ব্যবহার সহজ হওয়ায় এটি রোগে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে সবচেয়ে মানষিক রোগের নাম মানষিক অ্যাডিকশন। অভিভাবক সমাজ সচেতনরা সক্রিয় হলে আমাদের যুব সমাজকে ফেসবুক আসক্তি থেকে রক্ষা করা সম্ভব। এব্যাপারে সরকারেরও চিন্তা ভাবনা করা উচিত বলে সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়।