নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রেজিষ্ট্রেশন বিহীন ট্রাক্টরে সয়লাব হয়ে গেছে। এসব ট্রাক্টরে মাটি বহণের ফলে গ্রামীণ সড়ক গুলো ভেঙ্গে বেহাল দশায় পরিণত হচ্ছে। এসব যেন দেখার কেউ নেই। অধিকাংশ ট্রাক্টরগুলোর নেই কোন রেজিষ্ট্রেশন। ফলে এক দিকে সরকার যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত, অপর দিকে গ্রামীণ ছোট বড় সড়কগুলো ভেঙ্গে সরকারের কোটি কোটি টাকার সড়ক ভেঙ্গে নষ্ট হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এসব অবৈধ ট্রাক্টরের যন্ত্রনায় লোকজন অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। ট্রাকক্টরের সাথে উড়ে যাওয়া ধুলো বালিতে মানুষের যেমন শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, তেমনি ভাবে দিবানিশি শব্দ যন্ত্রনায় মানুষ ঘুমাতে বা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছেনা। এসব গাড়ি শীত মৌসুমে বাসা বাড়ি তৈরী বা ইট ভাটায় মাটি বহন করে থাকে। ট্রাক্টর গুলো কাচা ও পাকা রাস্তায় উপর দিয়ে চলাচল করলে কয়েক ইঞ্চি কাদা রাস্তায় আকড়ে ধরে থাকে। এতে অন্যান্য গাড়ি চলাচলে মারত্বক অসুবিধার সৃস্টি হয়। একটু বৃষ্টিপাত হলে মোটর বাইক বা অটোরিক্সা সিএনজিসহ অন্যান্য গাড়ি পিচলে গিয়ে মারাত্বক দূর্ঘটনা ঘটে। যেসব রাস্তা দিয়ে ট্রাকক্টর চলাচল করে সেই এলাকায় আধা কিলোমিটার জুড়ে বন জঙ্গলের গাছে রতা পাতায় ধুলো বালির চিহ্ন দেখা যায়। তাছাড়া মানুষের চলাচলের সময় নাকে ও মুখের ভিতর ধুলো বালি ঢুকে বিভিন্ন রোগ জিবানু সৃষ্টি।
বিশ্বনাথে দেওকলস মিয়ার বাজার, সিংগের কাছ, বিশ্বনাথ-হাবড়া বাজার, মাছুখালি সড়ক, দশ পাইকার বাজার সড়ক, রামধানা সড়কসহ উপজেলার চতুৃদিকে বিভিন্ন ছোট বড় রাস্তায় প্রায় শতাধিক ট্রাক্টর চলাচল করতে দেখা গেছে। এসব ট্রাক্টর মালিকরা সরকারের রাজস্ব ফাকি দিয়ে চোরাই পথে বিভিন্ন জেলা থেকে শীত মৌসুমে বিভিন্ন উপজেলায় মাটি কাটার কাজে এবস ট্রাক্টর ব্যবহার করছেন। এসব ট্রাক্টর রেজিষ্ট্রেশনের আওতায় এনে চলাচলের ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া একান্ত জররী। একজন ট্রাকক্টর ড্রাইভারের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা পুলিশকে ম্যানেজ করে গাড়ি চালিয়ে থাকেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্ণালি পালের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। তবে, থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শামিম মুসা জানান, শিঘ্রই এসব ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।