ডাক ডেক্স : মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডক্টর হাফেজ মুহাম্মদ মুরসীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্ৰকাশ করেছেন সিলেট জেলা ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আ.ক.ম এনামুল হক মামুন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্ৰেরিত এক শোকবাৰ্তায় তিনি বলেন- মুহাম্মদ মুরসী ছিলেন একজন দ্বীনদার, পরহেজগার ও হাফেজে কুরআন প্ৰেসিডেন্ট। কোরআন ও হাদীস সম্পৰ্কে তাঁর যতেষ্ট জ্ঞান ছিলো। তিনি ওলামায়ে কেরামকে সম্মান-মুহাব্বাত করতেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের প্রতি ছিলেন খুবই গুরুত্ববান। এমন খোদাভীরু ও ধর্মপ্রাণ প্ৰেসিডেন্টের মৃত্যুতে আমি গভীর শোকাহত।
এনামুল হক মামুন আরো বলেন- মিশরের সৰ্বস্থরের জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত মুহাম্মদ মুরসী প্রেসিডেন্ট হওয়া সত্বেও উচ্চ বিলাসিতার পরিবর্তে সাদাসিদে জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন, পরিবার-পরিজনসহ রাজধানীর একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তিনি বলেন- মুহাম্মদ মুরসী শান্তিময় বিশ্ব গড়তে কুরআন সুন্নাহর সংবিধানে রাষ্ট্ৰপরিচালনা, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর হুকুমত প্ৰতিষ্ঠা এবং সন্ত্ৰাস দমনে ইসলামী জিহাদের বিশ্বাসী হকের উপর অটল অবিচল একজন আপোষহীন নেতা ছিলেন। অন্যায়, অবিচার, জুলুম আর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সদা তিনি সোচ্চার ছিলেন, একজন আমানতদার প্ৰেসিডেন্ট হিসেবেও মুরসী মিশরের জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন।
ইসলামী ঐক্যজোটের এই নেতা বলেন- মুহাম্মদ মুরসী বিভিন্ন নবী-রাসুল (আ.) এবং সাহাবায়ে কেরাম (রা.) গণের স্মৃতিধন্য মিশরে আল্লাহর হুকুমত প্ৰতিষ্ঠার লক্ষে তাগুতের বিরুদ্ধে আমরণ সংগ্ৰাম করেছেন। তিনি হক প্ৰতিষ্ঠায় বাতিলের অনেক জুলুম নিৰ্যাতন সহ্য করেছেন, মানবেতর জীবন যাপন করেছেন কারা প্রকৌষ্ঠে এবং কারাগারেই মজলুম অবস্থায় তাকে বিনা চিকিৎসায় তিলে তিলে হত্যা করা হয়েছে।
এনামুল হক মামুন বলেন- মুহাম্মদ মুরসী একজন দেশপ্ৰেমিক প্ৰেসিডেন্ট ছিলেন, শত জুলুম-নিৰ্যাতন সত্বেও স্বদেশ ছেড়ে তিনি কোথাও যাননি। শুধু মিসরবাসীই নয়, বরং পুরো মুসলিম উম্মাহ মুহাম্মদ মুরসীকে তাঁর কৰ্মগুণে চিরোকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখবে। শোকবার্তায় তিনি সদ্য মরহুম ক্ষণজন্মা এই মুসলিম মনিষীর জন্য দরবারে এলাহীতে জান্নাতের সর্বোচ্চ আসন এবং তাঁর পরিবারকে সবরে জামিলের তাওফিক কামনা করেন।