স্টাফ রিপোটার : সিলেটের বিশ্বনাথে ফাতেমা বেগম (১৫) নামের এক তরুনীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল (৫ডিসেম্বর) শনিবার সন্ধা ৭টার দিকে উপজেলার অলংকারি ইউনিয়নের বড় খুরমা গ্রামের ফাতেমার স্বামী রফিক আলীর বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। ফাতেমার মা মনোয়ারা বেগমের অভিযোগ তার মেয়েকে স্বামী ওতার পরিবারের লোকজন হত্যার পর রশি দিয়ে তীরের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের মা মনোয়ারা বেগম জানান, গত ৫ মাস পূর্বে তার মেয়ে ফাতেমাকে অলংকারি ইউনিয়নের বড় খুরমা গ্রামের রফিক আলীর সাথে বিবাহ দেন। বিবাহের কয়েকদিন পর থেকেই মেয়ের স্বামী রফিক আলীর শুরু হয় শশুর বাড়ির কাছে বিভিন্ন বাদি-দাবা। কখনও টাকা, আবার কখনও মোবাইলফোনসহ অনেক কিছু। ফাতেমার মা-বাবা দিন মজুর থাকায় মেয়ের স্বামীর সকল আবদার পুরণ করতে পারেনি। গতকাল শনিবার দুপুরে ফাতেমা তার মা- বাবাকে মোবাইল ফোনে জানায়, তার স্বামীকে যেন আর কিছুই না দেয়। কারন স্বামী তাকে যখন তখন অমানবিক নির্যাতন করে। এর পর থেকেই আর ফতেমার সাথে কথা বলতে পারেনি তার বাবা-মা। সন্ধায় খরব আসে ফাতেমা নাকি আত্নহত্যা করেছে। ফাতেমার ১০ বছরের এক ছোট ভাই জানায়, ১০/১২ দিন পূর্বে সে ফাতেমার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। তখন কাচা লাকড়ি দিয়ে রান্না করতে না পারায় তার স্বামী বেধড়কভাবে লাটি পেটা করেছে। পরে বাড়ির লোকজন এসে ফাতেমাকে রক্ষা করেছে। নতুবা ঐদিনই তাকে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন মেরে ফেলত।
এদিকে ফাতেমার লাশ স্বামীর বাড়ির লোকজন তাদের এলাকায় দাফন না করে সিলেট মানিক পীর টিলায় দাফন করতে চাইলে ফাতেমার মা-বাবা বাঁধা দেন এবং লাশ বিশ্বনাথ পৌর এলাকার মুফতির গাঁও গ্রামে দাফন করা হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শামিম মুসা জানান, লাশের গায়ে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার পরও ময়না তদন্তে হত্যার প্রমান পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।