স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রাম থেকে ৯ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। (২৬ অক্টোবর) সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতপুর গ্রামের মৃত ফিরোজ খানের বাড়ির বসত ঘরের পেছনে পরিত্যাক্ত একটি লাকড়ি ঘরের চালের ভেতর থেকে টিস্যু দিয়ে মুড়ানো অবস্থা এ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ফিরোজ খানের ছেলে অলি খান বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে বিশ্বনাথ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, (অভিযোগ নং-১৩০৮)।
অভিযোগে বলা হয়, ২৫ অক্টোবর রবিবার দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটের সময় অলি খান তার স্ত্রীর সাথে (লন্ডনে) মোবাইল ফোনে কথা বলছিল। এসময় তার পাশের রুমে থাকা বাড়ির কাজের ছেলে জাহিদুল ইসলাম টয়লেটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাহির হলে হঠাৎ ঘরের বাহিরের পেছন দিকে লোকজনের আনা গোনা শুনতে পায়। তখন সে বিদ্যুতের আলোয় দেখতে পায় ওই পরিত্যাক্ত ঘর থেকে একই বাড়ির পাশের ঘরের ৩জন লোক বাহির হয়ে চলে যাচ্ছে। পরে সে অলি খানকে জানালে তারা দুজন ঘর থেকে বাহির হয়ে খোজাখুজি করে দেখতে পায় লাকড়ি ঘরের চালের ভেতরে টিস্যু দিয়ে মুড়ানো একটি পেকেট রয়েছে। আরো উল্লেখ আছে, দীর্ঘদিন ধরে একই বাড়ির বাসিন্দা আলা খানের পুত্র গয়াছ খাঁন গংদের সাথে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে প্রতিপক্ষরা অলি খানকে ফাঁসাতে রোববার রাতে এ কাজ করে। পর দিন সকালে অলি খান বিষয়টি থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সকালে গিয়ে ৯ পিছ ইয়াবা উদ্ধারের পর জব্দ তালিকা করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে গায়াছ খাঁনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির জায়গা নিয়ে অলি খাঁনের পরিবারের সাথে বিরুধ চলে আসছে। এবিষয়ে বিশিষ্ট মুরব্বি ও থানার ওসি শামিম মুসাসহ সালিশ বৈঠক হয়েছে। ওই শালিস বৈঠকে হেরে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে আমাদের বিরুদ্ধে অলি খাঁনের লোকজন বাদি হয়ে কোর্টে চাঁদাবাজি ও মারামারিসহ একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলাগুলো বর্তমানে চলমান আছে। তিনি আরও বলেন, অলি খান থানার এস আই ফজলুর রহমানের সাথে আতাত করে ইয়াবার ঘটনা সাজিয়েছে। এই ইয়াবা উদ্ধারের পুর্বে গত ২৪ অক্টোবর শনিবার দুপুরে এসআই ফজলুল হক অলি খানের ঘরে বসে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটিয়ে খাওয়া করেন।এরপূর্বে বৃহস্পতিবার সকালেও অলি খাঁনের বাড়িতে ছিলেন এসআই ফজলুল হক। ওই সাধারণ ডায়েরীর বাদি অলি খাঁনের সাথে এসআই ফজলুল হকের একাধিকবার সাক্ষাৎ নিয়ে অনেকটা আতংকে রয়েছেন গয়াছ খাঁনসহ তার পক্ষের লোকজন।
তবে, এই এলাকার জন প্রতিনিধিসহ সচেতন মহলের দাবী, পুলিশের উর্ধতন মহল বিষয়টি ব্যাপারে নজর দিলেই আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই ফজলুল হক সাংবাদিকদের বলেন, তিনি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তার বাড়িতে গিয়ে একটু চা পান করেছিলেন মাত্র।